নিয়মরক্ষার ম্যাচে গতকাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কুমিল্লার তিন আসরের শিরোপাজয়ী কোচ সালাউদ্দিন। এসময় দেশের ক্রিকেটারদের কমনসেন্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি।
এবারের বিপিএলে দেশের খেলোয়াড় থেকে বিদেশিদেরই আধিপত্ব্য বেশি দেখা যাচ্ছে। গতকালকে কুমিল্লার জয়েও বড় ভূমিকা রেখেছে পাকিস্তানি ক্রিকেটার রিজওয়ান। আর তাই ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দেশের খেলোয়াড়দের প্রতি এক প্রকার রাগই প্রকাশ করেন কুমিল্লার কোচ সালাউদ্দিন। বলেন, ‘লোকাল প্লেয়ারদের কাছ থেকে আমি একটা সিম্পল কমনসেন্স চাই। যাতে একটা কমনসেন্স থাকে। তবে তাদের আসলে সেই কমনসেন্স আছে কি না, সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ। আপনি যদি ১৫ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন, মিরপুরে খেলেন, আপনি জানেন যে, আপনার কি করতে হবে। সেই কমনসেন্সটা যদি আপনার না থাকে, তাহলে আমি মাঝে মাঝে খুব হতাশ!’
এবারের বিপিএলে পাকিস্তানের তারকা ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান কুমিল্লার হয়ে দুর্দান্ত পারফরম করছেন। এসময় তার প্রসঙ্গ টেনে সালাউদ্দিন বলেন, রিজওয়ানের চেয়ে আমাদের অনেক ওপেনার বা ওয়ান ডাউন ব্যাটার হয়তো ভালো মারতে পারে। তবে খেলতে গেলে দেখা যায় যে, উলটা হয়ে যাচ্ছে। আমি আরেক প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলাম, আমাদের দেশের অনেকে মাথা দিয়ে খেলে, অনেকে খেলে না। ম্যাক্সিমামই মাথা ছাড়াই খেলে। আল্লাহ যেদিন মিলায়ে দেয়, কোয়েশ্চেন কমন পড়ে, সেদিন ভালো খেলে। যেদিন কোয়েশ্চেন কমন পড়ে না সেদিন আর ভালো খেলে না। এটা খুবই হতাশাজনক। আপনি যখন ১০-১২ বছর খেলছেন, আপনার সিম্পল কমনসেন্স থাকা উচিত, কখন আমার কী করা উচিত।’
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘আপনার যদি গ্রামার ছোট বেলা থেকে খারাপ থাকে তাহলে তো আপনি ইংলিশ রচনা পড়তে পারবেন না। আমরা আসলে ছোটবেলা থেকে তাদের ওভাবে গড়ে তুলছি। আমরা নিজেরাই সব সময় বেশির ভাগই কোচ নির্ভর খেলোয়াড়, কোচ যেটা বলবে সেটা করবে। মাঠেতো আর কোচ খেলবে না, তখনই খেলোয়াড়দের ব্রেনটা কাজে লাগাতে হবে। কিন্তু তাদের ব্রেন তখন লক হয়ে যায়। আমাদের সিস্টেমেই গলদ। কম্পিউটারের সেটআপটা ঠিক মতো হয়নি। প্রকৃতপক্ষে তাদের যদি আমরা স্বাধীনভাবে গড়ে তুলতে পারতাম, তাহলে এ সমস্যাটা হতো না। আমরা যারা কোচিং করাই তাদেরই সমস্যাটা বেশি, ছেলেদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। একটা পর্যায়ে এসে ব্রেনটা কাজও করে না।’