বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফরচুন বরিশালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টসে জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। প্রথমে ব্যাট করে পেসার মুকিদুলের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২১ রানে অল আউট হয় ফরচুন বরিশাল। ১২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিংয়ে ৯ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বরিশাল। দলীয় ১৮ রানে দুই ব্যাটারকে হারায় বরিশাল। ৬ বলে ৩ রান করে এনামুল বিজয় ও ৮ বলে ৮ রান করে ফজলে মাহমুদ সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর মাহমুদুল্লাহ ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৩৮ রানে ১২ বলে ৬ রান করে ফিরে যান সাকিব। সাকিবের বিদায়ের পর দলীয় ৫৩ রানে ৮ বলে ৪ রান করে আউট হন ক্রিজে আসা ইফতিখার আহমেদ।
এরপর দলীয় ৬৪ রানে ২৬ বলে ৩৬ রান করে আউট হন মাহমুদুল্লাহ। এরপর জানাত করিম ও মাহেদী মিরাজ মিলে হাল ধরার চেষ্টা করেন। দু'জন মিলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন। তবে দলীয় ১১১ রানে ১৮ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
মিরাজের বিদায়ের পর দলীয় ১১৮ রানের মধ্যে আরও তিন ব্যাটারকে হারায় বরিশাল। ২৬ বলে ৩২ রান করে করিম জানাত, ওয়াসিম শূন্য ও খালেদ হাসান ৪ বলে ১ রান করে আউট হন। শেষ ব্যাটার হিসেবে চতুরঙ্গ ডি সিলভা আউট হলে ১২১ রানে অল আউট হয় বরিশাল। কুমিল্লার পক্ষে মুকিদুল একাই নেন ৫টি উইকেট।
১২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মোহাম্মদ রিজওয়ানের উইকেট হারায় কুমিল্লা। দলীয় ১৬ রানে ৬ বলে ১১ রান করে আউট হন রিজওয়ান। এরপর ক্রিজে আসেন জাকের আলি।
জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস। তবে দলীয় ৪১ রানে ১৬ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান জাকের আলি। এরপর দলীয় ৫৪ ও ৬০ রানে আরও দুই ব্যাটারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা। ইমরুল কায়েস ১০ বলে ৫ ও মোসাদ্দেক ৫ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর দলীয় ৭৪ রানে ৩৯ বলে ৩৬ রান করে আউট হন লিটন দাস। লিটনের বিদায়ের হাল ধরেন খুশদিল ও আন্দ্রে রাসেল। এসময় আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন আন্দ্রে রাসেল।
শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৯ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। খুশদিল শাহ ১৯ বলে ২৩ ও আন্দ্রে রাসেল ১৬ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের পক্ষে এবাদত হোসেন নেন ২টি উইকেট।