সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফের আদালত বর্জন শুরু আইনজীবীদের

আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:২৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারক ও নাজিরের অপসারণ দাবিতে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইনজীবীদের আদালত বর্জন কর্মসূচি আজ থেকে শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জেলা আইনজীবী সমিতির বিশেষ সভা শেষে এ ঘোষণা দেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঞা।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার সকাল থেকে আইনজীবীরা কোনো বিচারিক কাজে অংশ নেননি। আইনজীবী সমিতি ভবনে অবস্থান নিয়ে তারা সময় অতিবাহিত করেন। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আগত বিচারপ্রত্যাশীরা নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফিরছেন। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত অঙ্গনে আবারও নতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ দফায় বাড়ানো কর্মসূচির শেষ দিনেও দাবি আদায় না হওয়ায় দুই আদালতের পরিবর্তে আবারও পুরো আদালত বর্জনের ডাক দেয় আইনজীবী সমিতি।

সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঞা বলেন, দাবি আদায়ে আইনমন্ত্রীর আশ্বাসে আইনজীবীরা জেলা জজ আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ছাড়া বাকি আদালতে যাওয়া শুরু করেছিলো। কিন্তু আইনমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

গত ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়। অপরদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন করে আসছিলো আইনজীবীরা। 

বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দু’দফায় তলব করে উচ্চ আদালত। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবীদের সঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বৈঠকের পর দুটি আদালত বাদে বাকি সব আদালত বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল।

ইত্তেফাক/এবি/পিও