বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে এক বছরে ৩ সিংহ ও ২ হাতির মৃত্যু

আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:৩৩

কক্সবাজাররে চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে এক বছরে ৩ সিংহ ও ২ হাতির মৃত্যু হয়েছে। বার্ধক্যজনিত ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে পার্কে দিনদিন বাড়ছে প্রাণী মৃত্যুর হার। এ বিষয়ে মেডিক্যাল টিম নিরলস কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম।

সূত্র মতে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনটি সিংহ ও দু’টি হাতি মারা যায় সাফারি পার্কে। তার মধ্যে, ৮৬ বছর বয়সী হাতি ‌‘রঙমালা’ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর পিত্তথলিতে আড়াই কেজি ওজনের পাথর জমে এবং ৩২ বছর বয়সী  ‘সৈকত বাহাদুর’ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছরের ২৮ নভেম্বর মারা যায়। এছাড়া ২২ বছর বয়সী সিংহ ‘সোহেল’ বার্ধক্যজনিত কারণে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি মারা যায়।

একই সময়ে পার্কের প্রায় ৩০-৪০টি হরিণ নিখোঁজ রয়েছে। অরক্ষিত সীমানা প্রাচীরের কারণে প্রতিবছর বন্য হাতি প্রবেশ করে পার্কের ব্যাপক ক্ষতি করে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয় দর্শনার্থীদের। 

ট্যুরস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার মোস্তফা বলেন, সমুদ্রসৈকতের পর পর্যটকদের পছন্দের স্থান বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। এখানকার বিশাল বৃক্ষরাজি, সবুজ প্রকৃতি, প্রাণী দেখে বিমোহিত হন পর্যটকরা। কিন্তু পার্কে বন্য হাতির কারণে আতঙ্কে থাকতে হয় দর্শনার্থীদের। 

পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৯শ হেক্টর আয়তনের এ পার্কের ২১টি পয়েন্ট এখনও অরক্ষিত। সেসব পয়েন্টে ওঁৎ পেতে থাকা শিকারিরা হরিণ নিয়ে যায়। ঠিক কতটি হরিণ নিখোঁজ রয়েছে তা জানা নেই।। গণনার সঠিক ব্যবস্থা থাকলে নির্ধারণ করা যেত।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পার্কে বিভিন্ন বয়সের ৪টি হাতি রয়েছে। পার্কে অসুস্থ ৩টি সিংহী ও ১টি সিংহ রয়েছে। অন্যান্য প্রজাতির প্রাণীগুলো সুস্থ রয়েছে। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও পর্যাপ্ত খাদ্য দেওয়া হচ্ছে পশু-পাখিকে।

প্রাণী মৃত্যুর বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, বার্ধক্যজনিত এবং জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫টি প্রাণী মারা যায়। অসুস্থ সিংহী ‘টুম্পাকে’ সারিয়ে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মেডিক্যাল টিম।

ইত্তেফাক/এবি/পিও