মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

আমাদের লক্ষ্য ট্রফিটা ঘরেই রেখে দেওয়া

আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৯

গত সেপ্টেম্বরে নেপালে হওয়া সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ফাইনালে নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ফাইনালে গোল করেছিলেন শামসুন নাহার। এবার সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবলে বাংলাদেশের অধিনায়ক শামসুন নাহার জুনিয়র দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছেন। তার খেলা সাফে আলোড়ন তুলেছে। ভুটানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। প্রতিপক্ষকে তেড়েফুড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়ে রক্ষণে বল ফেলছেন। গোল করাচ্ছেন নিজেদের খেলোয়াড় দিয়ে।

আজকের ফাইনালেও গোল করতে চান। তবে তার আগে দেশের কথা মাথায় রেখেছেন তিনি। গতকাল ফাইনালের ম্যাচ প্রিভিউ সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকরা ছুটলেন অধিনায়ক শামসুন নাহারের দিকে। ফাইনাল নিয়ে কয়েক দফা কথা বলেছেন। তারপরও আরো কথা জানার আগ্রহ ছোটখাটো গড়নের হালকাপাতলা শরীরের ফুটবলার শামসুন নাহারের দিকে। ছিপছিপে শরীর নিয়ে কীভাবে এত দ্রুতগতিতে ছোটেন, সেই প্রশ্নে হাসি ছাড়ালেন। কোনো কথা বলতে পারলেন না।

গোল নিয়ে প্রশ্ন উঠলে শামসুন নাহার বললেন, ‘আমি গোল পাই কি না পাই-সেটা বড় কথা না। এখানে আমার দেশের বিষয়। বল দেব তাকে যে গোল করতে পারবে। কেউ যদি গোলের সুবর্ণ সুযোগের পজিশনে থেকে থাকে। আর বলটা যদি আমার পায়ে থাকে, আমিই শট করব। গোল করব সেটা হবে না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ফাইনাল জিততে হবে।’

সাফের প্রথম ম্যাচে নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের রেশ টেনে শামসুন নাহার বললেন, ‘আমরা যখন প্রথম ম্যাচটা জিতে গেলাম। সেদিনই টার্গেট করেছি ফাইনাল খেলব। চ্যাম্পিয়ন হতে হবে।’

ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার পর খেলা শেষে ভুটানের ফুটবলাররা শামসুন নাহারকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। তাকে নিয়ে আনন্দ করলেন মাঠে। সেলফি তোলা থেকে শুরু করে মাঠের ফটোসাংবাদিকদের সামনে গিয়ে হাজির হলেন। ছবি তুলবেন। ভুটানের ফুটবলারদের আনন্দ দেখে মনে হচ্ছিল না তারা তিন ম্যাচই হেরেছে। মেয়ে খেলোয়াড়দের আনন্দ সবার নজর কেড়ে নিল। শামসুন নাহারের সঙ্গে কথা বললেন।

কী কথা হয়েছে-জানতে চাইলে শামসুন নাহার বললেন, ‘খেলা চলাকালীন আমি মাটিতে পড়ে গিয়েছিলাম। তখন পানি নিয়ে মাঠে ঢুকেছিলেন। আমি পানি খাব না বললেও ভুটানের মেয়েরা আমাকে বলছে-পানি খাও, পানি খাও। কিন্তু আর গোল করো না।’ একথা বলেই হাসছিলেন শামসুন নাহার। আর কী কথা হয়েছে ? শামসুন নাহার বললেন, ‘ওরা আমার চুলের প্রশংসা করে। আমার চুল নাকি খুব সুন্দর। আমার ফেসবুক আছে কি না। আমার ইনস্টাগ্রাম আছে  কিনা। আমি ওদের জার্সিতে লিখে দিয়েছি।’

ইত্তেফাক/এসএস