নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম মুশফিকুর রহমান ওরফে আশিককে প্রভাষক পদে পদাবনতি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে এসংক্রান্ত একটি দাপ্তরিক আদেশ জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার শাস্তির কয়েকটি আদেশ দেওয়া হয়েছে।
শাস্তির আদেশগুলো হলো, আগামী ৫ বছরের জন্য ওই শিক্ষককে প্রভাষক পদে পদাবনতি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে। এই সময়ে তিনি পদোন্নতি কিংবা আপগ্রেডেশনের কোনো আবেদন করতে পারবেন না ও শিক্ষাছুটিতে যেতে পারবেন না।
শিক্ষা বিভাগের বর্তমান যেসব ব্যাচের শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ওই ব্যাচগুলোর কোনো একাডেমিক (ক্লাস ও পরীক্ষা) ও কোনো প্রশাসনিক কাজে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। তবে বিভাগের নতুন ব্যাচে তিনি ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর দিদার-উল-আলম বলেন, সহকারী অধ্যাপক মুশফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শিক্ষা বিভাগের কয়েকজন ছাত্রী যৌন হয়রানির করেন। তদন্তে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলের কাছে সুস্পষ্টভাবে তা প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে গত ২৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তার বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
গত বছরের আগস্ট মাসে শিক্ষা বিভাগের কয়েকজন ছাত্রী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন। নানাভাবে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন। পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের রাতে ডেকে নিয়ে নিজ অফিস কক্ষে বসিয়ে রাখা। পরীক্ষায় খেয়ালখুশি মতো নম্বর দেওয়া। নম্বর টেম্পারিং। পরীক্ষার আগে পছন্দের শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বলে দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ডিন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ সব অভিযোগের তদন্তে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।