নেত্রকোণায় পরশিয়া আক্তার (১৮) ও বিপুল দাস (১৯) নামের দুই কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিপুল দাসের লাশ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পৌর শহরের নাগড়া সাহাপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। আর পরশিয়া আক্তারের লাশ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ উদ্ধার করে।
পরিবারের লোকজন ও পুলিশ জানায়, এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় হওয়ায় তারা আত্মহত্যা করেন। পরশিয়া আক্তার রংছাতি গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে। তিনি এবার ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কলমাকান্দা সরকারি কলেজ থেকে মানবিক শাখায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। আর বিপুল দাস পৌর শহরের নাগড়া সাহাপাড়া এলাকার শ্যামল দাসের ছেলে। তিনি আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজ থেকে মানবিক শাখায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন।
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, পরশিয়া রংছাতি দাখিল মাদ্রাসা থেকে মানবিক শাখায় এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৯ পান। এবার এইচএসএসসিতে তিনি আশা করেছিলেন জিপিএ ৫ পাবেন। কিন্তু বুধবার ফলাফল প্রকাশিত হলে জানতে পারেন তিনি জিপিএ ৩.৪২ পেয়েছেন। এরপর থেকে তিনি কান্নাকাটি করছিলেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে বোঝানোর পর কিছুটা শান্ত হয়ে ঘরে যান। পরে বাড়ির লোকজন পুকুরে গোসল করতে গেলে এ সুযোগে ঘরের থাকা কীটনাশক পান করে। পরে তার মৃত্যু হয়।
কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম ঘটনার সত্যকা স্বীকার করেন। লাশ আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের নিকট পুলিশ হস্তান্তর করেছে।
এদিকে বিপুল দাস এইচএসসিতে এক বিষয়ে ফেল করায় তিনি কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন না। বৃহস্পতিবার সকালে তার ব্যবসায়ী বাবা দোকানে যান। আর মা প্রতিবেশী একজনের বাসায় যান। সকাল পৌনে ১০টার দিকে মা ঘরে এসে বিপুলের ঝুলন্ত লাশ দেখেন। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
নেত্রকোণার মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।