রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে টিকিট কালোবাজারি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এরা হলেন চক্রের হোতা উত্তম দাস, ইলিয়াস, শাহ আলম ও খোকন মিয়া। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র্যাব জানিয়েছে, চক্রটির সদস্যরা রেলস্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে ও অনলাইনে বিভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে টিকিট সংগ্রহ করতেন। পরে সেগুলো ট্রেন ছাড়ার আগে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করতেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা টিকিটের দাম আরও বাড়িয়ে দিতেন। মূলত ট্রেন ছাড়ার সময় যত ঘনিয়ে আসত তাদের মজুত করা কালোবাজারি টিকিটের দাম তত বাড়তো।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩-এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করছে একটি চক্র। তারা অধিক মুনাফার আশায় দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করছেন। কমলাপুর রেলস্টেশনে এই কালোবাজারি চক্রের হোতা উত্তম দাসের নেতৃত্বে বাকিরা মিলে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতেন। এছাড়া তারা অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও টিকিট সংগ্রহ করতেন। এরপর আবার উত্তম দাসের নেতৃত্বে সেগুলো ট্রেন ছাড়ার তিন-চার ঘণ্টা আগে থেকে বেশি মূল্যে বিক্রি শুরু করতেন। ট্রেন ছাড়ার সময় যত ঘনিয়ে আসত তাদের মজুত করা কালোবাজারি টিকিটের দাম তত বাড়ত। তারা সাধারণত দ্বিগুণ মূল্যে টিকিট বিক্রি করতেন। সুযোগ ও সময় বুঝে অনেক ক্ষেত্রে তারা টিকিটের দাম আরও বাড়িয়ে দিতেন। তিনি আরও বলেন, চক্রটি মূলত সোনার বাংলা, কালনী এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশিথা, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ও পারাবত এক্সপ্রেসের টিকিট কালোবাজারি করতেন। এই চক্রের আরও সদস্য ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে পাঁচ-সাত জন করে সক্রিয় সদস্য রয়েছে। উত্তম দাস এর আগে দুই বার গ্রেফতার হন।