টেকনাফ থেকে পাঁচ শতাধিক পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার পথে ডুবোচরে আটকা পড়ে এমভি বার আউলিয়া নামের পর্যটকবাহী জাহাজটি আড়াই ঘণ্টা পর গন্তব্যে পৌঁছেছে।
জাহাজে থাকা পর্যটকদের অভিযোগ, যাত্রার পর নাফনদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় ডুবোচরে আটকে গিয়ে যাত্রা থমকে যায় জাহাজটির। জোয়ার এলে আবার যাত্রা করে জাহাজটি দুপুর আড়াইটার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছে। এতে করে পর্যটকদের আনন্দই মাটি হয়ে যায়। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ ভোগান্তিতে পড়েন পর্যটকেরা।
পর্যটক সাহেল উদ্দিন বলেন, সকালে দমদমিয়া জেটিঘাট দিয়ে জাহাজটি রওনা করলেও একটি জায়গায় গিয়ে জাহাজটি ধাক্কা দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। জানানো হলো ডুবোচরে আটকে গেছে জাহাজ। স্থানটি নাইক্ষ্যংদিয়া বলে উল্লেখ করে জাহাজ কর্তৃপক্ষ। এতে সবাই চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। সকাল সোয়া ৯টার দিকে দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে ছাড়া জাহাজটি দুপুর সাড়ে ১২টায় জাহাজ সেন্টমার্টিনে পৌঁছার কথাছিল। কিন্তু আমরা প্রায় দুই ঘণ্টা ডুবোচরে আটকে থেকে দুপুর আড়াইটায় সেন্টমাটিন ঘাটে পৌঁছেছি।
তিনি বলেন, আমাদের মনে হয়েছে ধারণাক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়েছিল জাহাজটিতে। তাই এ ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছি আমরা। যারা দিনে ফেরার তারা অনেকেই জাহাজ থেকে সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে নামতেও পারেনি। দুপুর ৩টার দিকে টেকনাফের উদ্দেশ্য রওনা হয় জাহাজটি।
এমভি বার আউলিয়া জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম বলেন, ইঞ্জিন ত্রুটির কারণে পর্যটকদের নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ভাটার আগেই এ নৌপথে ডুবোচরগুলো অতিক্রম করতে হবে। তাই দুপুর ৩টার দিকে আবার জাহাজটি টেকনাফের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এটি নাহলে দেরিতে দমদমিয়া জেটিঘাটে পৌঁছাতে হতো বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সেন্টমার্টিন ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, জাহাজটি সেন্টমাটিন জেটিঘাটে পৌঁছলে অনেক যাত্রীরা সেন্টমার্টিন ঘাটে না নেমে চলে যান।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ইঞ্জিন ত্রুটির কারণে এমভি বার আউলিয়া জাহাজটি মাঝপথে থমকে যায়। পরে জাহাজ কর্তৃপক্ষ ইঞ্জিনের ত্রুটির সমাধান করার পর জেটিঘাটে পৌঁছে।