শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসকের ৩৮ পদের ৩০টিই শূন্য

আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:৩০

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ  (খুমেক) হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগে চিকিৎসক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। হাসপাতালের ঐ বিভাগে মঞ্জুরিকৃত ৩৮টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩০টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। বন্ধের উপক্রম হয়েছে অপারেশন ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসার জন্য শয্যা রয়েছে মাত্র ৫০০টি। অনুমোদিত এ শয্যার জন্য বিশেষজ্ঞসহ চিকিৎসকের পদ রয়েছে ২৮৮টি। সেখানে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ২০৭জন চিকিৎসক। দীর্ঘদিন ধরে ৮১টি চিকিৎসকের পদ শূন্য। তবে হাসপাতালে সবচেয়ে বড় সংকট দেখা দিয়েছে অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসকের। হাসপাতালের ঐ বিভাগে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৩৮টি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ৩০টি পদই শূন্য। এ কারণে রোগীদের অপারেশনে জটিল পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। অনেক সময় অ্যানেস্থেসিয়ার অভাবে এক জন গুরুতর রোগীর অপারেশন করতে এক মাসেরও বেশি সময় দেরি হচ্ছে। 

হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের ৯ ও ১০ নম্বর ইউনিটে এক মাসের অধিক সময় ভর্তি রয়েছেন বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার নগরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সালাউদ্দিন (২৩)।  তিনি জানান, তার পেটে আলসার হয়েছে। কোনো কিছু খেলে সহ্য হচ্ছে না। বমি হচ্ছে।  কোনো কোনো সময় ২৫-২৬ বার বমি হচ্ছে। চিকিৎসক বলেছেন, অপারেশন প্রয়োজন। কিন্তু এক মাস তিন  দিন ভর্তি থেকেও অপারেশন সম্ভব হয়নি।

হাসপাতালে ভর্তি বেশ কয়েকজন রোগীর স্বজন জানান, তাদের রোগীর পিত্তথলিতে পাথরসহ বিভিন্ন অসুখ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অপারেশন দরকার।  কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তাদের অপারেশন বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

খুমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে সবচেয়ে অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসকের সংকট বেশি। এ বিভাগে চিকিৎসকের ৩৮টি পদের ৩০টিই শূন্য। এ কারণে রোগীদের অপারেশন করতে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে। অনেক সময় রোগীকে অপারেশন করতে এক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তবে এ সমস্যা নিরসনে মন্ত্রণালয়ে চিকিৎসক পদায়নের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হাসান বলেন, হাসপাতালে অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক  (অবেদনবিদ) সংকট রয়েছে। দ্রুত চিকিৎসক পদায়ন না হলে হাসপাতালে অপারেশন ও আইসিইউ বন্ধের উপক্রম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

ইত্তেফাক/ইআ