শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বেরোবি শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব নিয়মিতকরণ করতে হাইকোর্টের রুল

আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৫৮

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদের ছাত্রত্ব নিয়মিতকরণ করতে রুল জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক মাসুদকে চলতি শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং রেজিস্টারকে এ নির্দেশ বাস্তবায়নের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈতবেঞ্চ এ অদেশ প্রদান করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমরান হোসাইন রুমেল।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা (রেজিস্ট্রেশন নং-০০০০০৬৪৯, আইডি নং-১৪৬০১২) ব্যক্তিগত কারণে উক্ত সেশনে ক্লাসে অংশগ্রহণ না করে পরবর্তী সেশনে (২০১৫-১৬) পুনঃভর্তি হয়ে ১ম বর্ষ ১ম ও ২য় সেমিস্টার সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে সে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে ২০১৫-১৬ সেশনের ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টার ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। পরে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম  একাডেমিক কাউন্সিলে মাসুদকে (২০১৬-১৭) শিক্ষাবর্ষে পুনঃভর্তির জন্য সুপারিশ করা হয়। কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের পরও তাকে কোনো ধরণের চলমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দিয়ে শুধু সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। মাসুদকে প্রতি কোর্সের শুধু ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ায় মাসুদ পাশ নম্বর তুলতে ব্যর্থ হয়। বিভাগীয় প্রধান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার আবেদনের পরও মাসুদের পরীক্ষায় কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাসুদ। পরে ২২তম একাডেমিক কাউন্সিলে মাসুদের চলমান পরীক্ষা গ্রহণের আর কোনো সুযোগ নেই বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। নিরুপায় হয়ে উচ্চ আদলতের দ্বারস্থ হয় মাসুদ। 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমরান হোসাইন রুমেল বলেন, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের পরও মাসুদের চলমান পরীক্ষা না নিয়ে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। মাসুদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট পরীক্ষা গ্রহণ করে তার ছাত্রত্ব নিয়মিতকরণের আদেশ প্রদান করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল অফিসার রেহেনা আক্তার মণি বলেন, অফিসিয়ালি এ সম্পর্কিত কোনো কাগজ এখনো পাইনি।

ইত্তেফাক/পিও