রাজউকের ‘কোটিপতি কর্মচারীদের’ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে অনুসন্ধান সম্পন্ন করে ৫ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে দুদক ও রাজউক চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়। এছাড়া ‘কোটিপতি কর্মচারীদের’ বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘রাজউক চেরাগে বাড়ি গাড়ি প্লট দোকান’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, কেউ উচ্চমান সহকারী, কেউ নিম্নমান সহকারী, কেউবা বেঞ্চ সহকারী। তবে এক জায়গায় নিখুঁত মিল! সবাই কোটিপতি। রাজউকের তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শ্রেণির ২০-৩০ হাজার টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী হলেও অনেকের রাজধানীতে রয়েছে এক বা একাধিক বহুতল বাড়ি, আধুনিক গাড়ি। অনেকের আছে প্লট, ফ্ল্যাট, দোকানপাট।
প্রতিবেদনটি আদালতে পড়ে শোনান দুদক কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান। শুনানি শেষে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ও রুল জারি করে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক উপস্থিত ছিলেন।