শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

এনআইডি ছাড়া মিলবে না ট্রেনের টিকিট, ১ মার্চ থেকে কার্যকর

আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:০২

‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ শীর্ষক স্লোগান ধারণ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মাধ্যমে শুরু হচ্ছে রেলেওয়ের টিকিট সংগ্রহ। এই প্রক্রিয়া আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। পুরো প্রক্রিয়া শুরু হবে অনলাইনের মাধ্যমে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে রেলওয়ের সিস্টেমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন যাত্রীরা। টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ ও রাজস্ব আয় বাড়াতে এই উদ্যোগ নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেল কর্তৃপক্ষ।

গতকাল বুধবার রেল ভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেল কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ, বিনা টিকিটে ভ্রমণকারীদের কাছ থেকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় সহজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে, যা আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। এক, জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটিং ব্যবস্থা; দুই, টিকিট চেকিং ব্যবস্থায় পস (পয়েন্ট অব সেলস) মেশিন প্রবর্তন এবং তিন, অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয়কৃত টিকিট অনলাইনে রিফান্ডের ব্যবস্থা করা। রেলওয়ের কাউন্টার, অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট ক্রয়কারী যাত্রীগণ অনলাইন অথবা মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে যে কোনো সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট সিস্টেমে খুব সহজে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সি যাত্রীগণ পিতা বা মাতার নাম ও এনআইডি দ্বারা অথবা জন্মনিবন্ধন নম্বর প্রদান ও জন্মনিবন্ধন সনদ আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধনকৃত একাউন্ট দ্বারা টিকিট ক্রয় করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত নামের সঙ্গে যাত্রীর সম্পর্ক যাচাইয়ের জন্য ভ্রমণকালে বাধ্যতামূলকভাবে জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে বলে জানা গেছে।

বিদেশি নাগরিকগণ পাসপোর্ট নম্বর প্রদান ও পাসপোর্টের ছবি আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। এছাড়া সফলভাবে এনআইডি, পাসপোর্ট ও জন্মনিবন্ধন যাচাইপূর্বক নিবন্ধন ছাড়া কোনো যাত্রী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন না। ভ্রমণকালে যাত্রীদের অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট, ছবিসংবলিত আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকিটের ওপরে মুদ্রিত যাত্রীর তথ্য না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে এবং রেলওয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বসাধারণের নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য দেশের বিভাগীয় শহরের রেল স্টেশন ও আন্তঃনগর ট্রেনের প্রারম্ভিক  স্টেশনসমূহে একটি করে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০টি পস মেশিনের মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু করা হবে। অনলাইনে ইস্যুকৃত ট্রেনের টিকিট অনলাইনেই ঘরে বসে রেলসেবা অ্যাপ বা রেলওয়ের টিকিট ওয়েব পোর্টালে ঢুকে রিফান্ড করা যাবে। এতে জনগণের টিসিভি (টাইম, কস্ট, ভিজিট) বহুলাংশে কমানো সম্ভব হবে।

ইত্তেফাক/ইআ