কয়লা-সংকটে টানা এক মাস ধরে বন্ধ থাকার পর বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ফের উৎপাদনে গেছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। উৎপাদন শুরুর পর কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে বলেন, ‘কয়লা-আমদানির পর রাত থেকে নতুন করে উৎপাদন শুরু হয়েছে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। কয়লা আমদানি নিয়ে যে জটিলতা ছিল, সেই সংকট ধীরে ধীরে নিরসন হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না।’ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান বিআইএফপিসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনোয়ারুল আজীম বলেন, গত রাত সাড়ে ১১টা থেকে আমরা পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছি। প্রথমে ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডের সরবরাহ করা হয়। ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো হবে। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সূত্রে জানা যায়, কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানি করতে না পারায় ১৪ জানুয়ারি রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে কয়লা আমদানির চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃপক্ষ। বন্ধ হওয়ার ২৬ দিন পরে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩০ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে বিদেশি জাহাজ। পরে এই কয়লা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা ইয়ার্ডে আনা হয়।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ মোংলা আসার কথা রয়েছে। কেন্দ্রটিতে কয়লা মজুতের সক্ষমতা রয়েছে তিন মাসের। নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের কয়লা মজুত রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ডলার সংকটে এতদিন কেন্দ্রটিতে কয়লার কোনো মজুত ছিল না। অন্যদিকে কয়লা ও ডলার সংকটের মধ্যেও আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।