স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার হাসিকে (২৭) গলাটিপে হত্যার পর লাশ ওয়ারড্রোবে লুকিয়ে রেখে ১৬ ঘণ্টা পর নিজেই থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী মনোয়ার হোসেন (৩৩)। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার জেলা শহরের ঘাসিপাড়া এলাকায়। শুক্রবার ভোরে এই হত্যার ঘটনা ঘটলেও রাত ১০টা ১০ মিনিটে কোতোয়ালি থানায় আত্মসমর্পণের পর জানাজানি হয় নৃশংস এই ঘটনাটি।
পুলিশ জানায়, ছোট গুড়গোলা এলাকার মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে গত ২০ জানুয়ারি বিয়ে হয় বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর কলেজপাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের কন্যা সুমাইয়া আক্তার হাসির। দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে বলে জানায় পুলিশ। বিয়ের পর তারা জেলখানার পেছনে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত। সেই বাড়িতেই শুক্রবার ভোরে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার হাসিকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ ওয়ারড্রোবের ভেতর রেখে দেয় স্বামী মনোয়ার হোসেন। এরপর রাত ১০টা ১০ মিনিটে কোতোয়ালি থানায় নিজেই হাজির হয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা জানায় মনোয়ার এবং পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর কোতোয়ালি থানা পুলিশ রাতেই ঐ বাড়িতে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান, মনোয়ার হোসেন তাদের কাছে জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোর ৩টা থেকে ৪টার দিকে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেন তিনি। ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং শুক্রবার রাতেই সুমাইয়া আক্তার হাসির ছোট ভাই কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
