বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

কানাডায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৪৯

কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ও শহরে প্রবাসী বাঙালিরা মহান একুশে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে প্রবাসী বাঙালিরা। সেই সঙ্গে ওটোয়া সিটি বাংলাদেশ দূতাবাস এবং টরন্টো উপদূতাবাস দিনটি যথাযথ মর্যাদার পালন কর হয়।

কানাডার প্রথম শহীদ টরন্টোর ডেন্টনিয়া পার্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস মনুমেন্টর সামনে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাড়ে ৩টায়  ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি- আমি কি ভুলিতে পারি সমবেতভাবে গান গেয়ে দিনটির সূচনা করে প্রবাসীরা।

এতে অংশ নেন- সর্বস্তবের অভিবাসী বাংলাদেশি। পরে ২১’র প্রথম প্রহরে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ০১ মিনিটে পুস্পস্তবক অর্পণ করে বাহান্নের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শীত উপেক্ষা করে সেখানে মানুষের ঢল নামে।

এ দিকে, মন্ট্রিয়লে সর্বজনীন একুশ উৎযাপন পরিষদের উদ্যোগে মহান আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে প্রথম প্রহরে মন্টিয়লের সিটি কর্তৃক নবনির্মিত শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।

বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরি বহু সংস্কৃতির দেশে স্বদেশের সংস্কৃতি ও মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে।

তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে প্রথম দিন রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ছিল ক্যালগেরি শহরের বিভিন্ন স্থানে মাতৃভাষার জন্য ভালোবাসা নামক একটি দর্শনী। দ্বিতীয় দিন সোমাবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় ছিল শিশু ও কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং বিকেল ৫টায় ফেইস পেইন্টিং। সন্ধ্যা ৭টায় একুশের চেতনা এবং একুশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে বাংলাদেশ সেন্টারে পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’দেখানো হয়।

২১’র প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে ক্যালগেরির বাংলাদেশ সেন্টারে প্রথমবারের মতো একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহীদ মিনারের পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর আগে একুশের কবিতার সঙ্গে নিত্য পরিবেশন করে নৃত্যশিল্পী ও মুক্তবিহঙ্গর নাট্যকর্মী মৌ ইসলাম।

তৃতীয় দিনে একুশে ফেব্রুয়ারি বিকেলে পুরস্কার বিতরণী, আলোচনা সভা এবং একুশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে একুশের অনুষ্ঠানমালার সমাপ্তি ঘটে।

বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি কয়েস চৌধুরী বলেন, ৭১ বছর আগের সেই ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত হয়েছে। আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে একুশের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে আমাদের এই অহংকার জাগিয়ে রাখতে আমাদের এই আয়োজন।

ইত্তেফাক/আরএজে