বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অনভিপ্রেত আচরণ

ফকিরহাট ইউএনওর বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্ত করল জেলা প্রশাসন

আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৩, ১৭:২০

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন কর্তৃক উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মিজানুর রহমানের গায়ে হাত তোলার ঘটনা সরেজমিনে তদন্ত করল জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার সকালে ফকিরহাট বিশ্বরোড সংলগ্ন এলএসডি গোডাউন (কাঠালতলা) সংলগ্ন ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগী শেখ মিজানুর রহমান,  প্রত্যক্ষদর্শী জাহিদুল ইসলাম ও মোল্যা হাবিবুর রহমানের সাক্ষ্য গ্রহণ ও তাদের কাছে লিখিত জবানবন্দি গ্রহণ করেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম। পরে অভিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন।

গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মিজানুর রহমান বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে গরুর ফার্মে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাঁঠালতলা মোড় এলাকায় পৌঁছলে দ্রুতগতিতে ইউএনওর গাড়িটি ব্যাকে (পিছনে) আসে। তখন ইউএনওর গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। পরে ইউএনও গাড়ি থেকে নেমে এসে মিজানুর রহমানকে মুখে থাপ্পড় দেন এবং গাড়িতে তুলে দেড় ঘণ্টা আটকে রাখেন। পরে লোকজন জড়ো হলে তাকে ছেড়ে দেন। এ নিয়ে প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়।

কাঁঠালতলা এলাকায় থাকা একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, খুলনা-মাওয়া মহাসড়ক দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িটি ফলতিতার দিকে যাচ্ছিল। মাত্র তিন সেকেন্ডের ব্যবধানে গাড়িটি পুনরায় পিছনে আসেন। তখন পার্শ্ব রাস্তা থেকে উঠে আসা মিজানুর রহমানের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ইউএনওর গাড়িটির ঘষা লাগে। প্রথমে গাড়িচালক নিচে আসেন। পরে ইউএনও গাড়ি থেকে নামেন এবং মো. মিজানুর রহমানকে থাপ্পড় দেন। এর পর গাড়ির পিছনে উঠিয়ে নিয়ে চলে যান ইউএনও।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ইউএনও কর্তৃক শারীরিক লাঞ্ছিত হওয়ায় প্রশাসন আমাকে আশ্বস্ত করেছেন—এ বিষয়ে তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। যেহেতু এটা প্রশাসনের ব্যাপার তাই তারা যেটা ভালো মনে করবেন, আমি তাই মেনে নেব।’

বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলামের কাছে তদন্ত সম্পর্কিত বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

ইত্তেফাক/আরএজে