ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে ‘প্রোটন বিম থেরাপি’। দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম এবং একমাত্র প্রোটন থেরাপি সেন্টার হিসেবে এই সেবা দিচ্ছে ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো প্রোটন ক্যানসার সেন্টার (এপিসিসি)। ইতিমধ্যে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের রোগীরা এই সেবা নিয়ে সুফল পেয়েছেন। সম্প্রতি অ্যাপোলো প্রোটন ক্যানসার সেন্টার থেকে রেডিওথেরাপি ও ‘প্রোটন বিম থেরাপি’ নিয়ে ডিফিউজ গ্লিওমার ক্যানসার থেকে সুস্থ হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ছয় বছর বয়সি এক বাংলাদেশি শিশু।
গতকাল শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) স্বীকৃত অ্যাপোলো প্রোটন ক্যানসার সেন্টারের কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় প্রোটন বিম থেরাপি বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন অ্যাপোলো সেন্টারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট ডা. স্বপ্ন নানজিয়া। এছাড়া এপিসি সেন্টার থেকে চিকিৎসা নেওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানান ঐ শিশুর অভিভাবকরা।
ডা. স্বপ্ন নানজিয়া বলেন, ক্যানসারের প্রথাগত চিকিৎসার তুলনায় প্রোটন বিম থেরাপির সুবিধা অনেক বেশি। এই থেরাপিতে আক্রান্ত টিস্যুর আশপাশে অন্যান্য সুস্থ টিস্যুর কোনো ক্ষতি হয় না। ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ক্ষতিকর টিউমারের বিনাশ ঘটাতে উচ্চমাত্রার রেডিয়েশন প্রয়োগ করা সম্ভব হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেবস্মিতা সরকার নামের শিশুটি চোখের দ্বৈত দৃষ্টি ও সীমিত নড়াচড়ার সমস্যা নিয়ে ঢাকা থেকে চেন্নাইয়ে যায়। অ্যাপোলো সেন্টারে পরীক্ষানিরীক্ষার পর তার ডিফিউজ গ্লিওমার ক্যানসার ও সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম (সিএনএস) টিউমার ধরা পড়লে চিকিৎসা শুরু হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তার রেডিওথেরাপি ও প্রোটন বিম থেরাপি শেষে দেখা যায় টিউমারটি হ্রাস পেয়েছে।
শিশুটির বাবা ডা. দেবাশীষ সরকার বলেন, এপিসি সেন্টার আমাদের জীবনে আলো ফিরিয়েছে। আমি হাসপাতালটির চিকিত্সকসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করা সবাইকে আমি অ্যাপোলো সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দেব।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যানসার চিকিৎসায় অ্যাপোলো প্রোটন ক্যানসার সেন্টারে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারে তাদের প্রোটন বিম থেরাপির সাফল্য রোগীদের মাঝে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।