শুরুটা করলেন মেসি আর শেষটা এমবাপ্পে। মাঝখানে গোল হয়েছে আরও চারটি। ম্যাচশেষে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠে ছেড়েছে পিএসজি। পিএসজির জয়ের পাশাপাশি বড় দুই তারকাই গোল করে ম্যাচটি স্মরণীয় করেছেন নিজেদের জন্যও।
শনিবার (৪ মার্চ) পার্ক দ্যেস প্রিন্সেসে নঁতের বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয় তুলে নিয়ে লিগ ওয়ানের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে পিএসজি। দলের হয়ে গোল করেছেন লিওনেল মেসি, দানিলো পেরেইরা আর কিলিয়ান এমবাপ্পে, অন্য গোলটি আত্মঘাতী। নঁতের হয়ে দুটি গোল পরিশোধ করেছেন লুদোভিক ব্লাস ও ইগনাতিয়াস গানাগো।
মেসি আর এমবাপ্পে নিজেদের গোল করে ছুঁয়েছেন ব্যক্তিগত মাইলফলক। নঁতের বিপক্ষে ১২ মিনিটে করা গোল করে ক্লাব ক্যারিয়ারে গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে ১০০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মেসি। অন্যদিকে, ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে নিজের একমাত্র গোলটি পিএসজির হয়ে সর্বোচ্চ ২০১ গোলের রেকর্ড গড়েছেন এমবাপ্পে।
আগেরম্যাচে মার্শেইয়ের বিপক্ষে নিজের পিএসজি ক্যারিয়ারে ২০০তম গোল করে ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এডিসন কাভানির সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষস্থানে বসেছিলেন এমবাপ্পে। নঁতের বিপক্ষে এক গোল করে কাভানিকে এককভাবে পিএসজির হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার শীর্ষস্থান দখল করলেন এমবাপ্পে।
ম্যাচের ১২ মিনিটেই মেসির গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। নুনো মেন্দেসের কাট ব্যাক থেকে আসা বল একটুর জন্য নাগাল পাননি এমবাপ্পে। তবে এপ্সহন থেকে এসে সেই বল জালে জড়ান মেসি। মিনিট পাঁচেক পরই এক আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দ্বিগুন হয় পিএসজির।
তবে ৩১ থেকে ৩৮, এই আট মিনিটের ভেতর দুই গোল করে নঁতেকে সমতায় ফেরান লুদোভিক ব্লাস আর ইগনাতিয়াস গানাগো। ২-২ গোলে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
ম্যাচের ৬০ মিনিটে পিএসজিকে আরেকবার এগিয়ে নেন পেরেইরা। এরপর ম্যাচের প্রায় শেষের দিকে এসে ইনজুরি সময়ে টিমোথি পেম্বেলের কাছ থেকে বল পেয়ে নঁতের জালে বল জড়িয়ে দলকে ৪-২ গোলে এগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পিএসজির হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যান এমবাপ্পে।
এই জয়ে ২৬ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করলো পিএসজি। এক ম্যাচ কম খেলে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে মার্শেই।