বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

‘বিএনপি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতা শুরু করেছে’

আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩, ১৮:২৬

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি তাদের পুরোনো অপকৌশল অবলম্বন করে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতা শুরু করেছে। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। তাই নির্বাচনে নিজেদের ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিএনপি। অথচ এ দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি- ফেসবুক থেকে নেওয়া

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি তাদের পুরোনো অপকৌশল অবলম্বন করে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতা শুরু করেছে। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। তাই নির্বাচনে নিজেদের ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিএনপি। অথচ এ দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।’

সামরিক ফরমান জারি করে জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি হতে জিয়াউর রহমানের কোনও প্রস্তাবক ও সমর্থকের প্রয়োজন ছিল না। একই সঙ্গে অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান ও প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা পদে থেকে ‘হ্যাঁ/না’ ভোটের আয়োজন করে। যা সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক এবং বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী বিধিমালা পরিপন্থি। জিয়াউর রহমান জাতিকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল এবং সামরিক আইন বহাল রেখে ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করেছিল। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করেন জিয়াপত্নী বেগম খালেদা জিয়া। যার ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার অভিপ্রায়ে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল; বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসিয়ে মহান জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি- ফেসবুক থেকে নেওয়া

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি এ দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রধান প্রতিবন্ধক; বাংলাদেশের রাজনীতির সব অশুভ শক্তির প্রতিভূ। জনগণ কর্তৃক বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি আজ তাদের ব্যর্থতার দায়ভার জাতির ওপর চাপাচ্ছে। এমনকি নিজেদের দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বকে জায়েজ করতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্ব এক সংকটকাল অতিক্রম করছে বলেও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘এই সংকটের মধ্যেও জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের সুরক্ষা দিয়ে চলেছেন। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) সভাপতি সাবা করোসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং এটি অলৌকিক ঘটনার মতো বলে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে লন্ডনভিত্তিক দ্যা ইকোনমিস্ট-এর এক নিবন্ধে সংকটে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মিরাকল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ওই নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের উন্নয়নের মডেল বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।’ 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

তিনি বলেন, ‘সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর এই অগ্রগতি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করাই বিএনপির রাজনীতির একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তারা দেশের ভিতরে ও বাইরে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’

দেশের সংবিধান মেনেই আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বোধগম্য হওয়া উচিত নির্বাচন প্রতিহত এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করে কোনও লাভ নেই। জনগণের রায়ে সাংবিধানিক উপায়েই ক্ষমতা পরিবর্তন হবে। আমরা বিএনপির প্রতি আহ্বান জানাই, ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসুন; নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।’

ইত্তেফাক/এমএএম