শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্তে লড়াই, নিহত ৫

আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৯

দুই দেশের সীমান্তবর্তী লাচিন করিডোরে লড়াই হয়েছে। দুই দেশই একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সীমান্ত অঞ্চল নাগর্নো-কারাবাখ নামে পরিচিত। সেখানেই আছে পাহাড়ে ঘেরা লাচিন করিডোর। এই করিডোর আর্মেনিয়ার সঙ্গে নাগর্নো কারাবাখের একমাত্র যোগসূত্র। 


এবার সেই অঞ্চল নিয়ে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। গুলির লড়াইয়ে দুই দেশের মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আর্মেনিয়া জানিয়েছে, তাদের তিন পুলিশ অফিসার নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে আজারবাইজানের দাবি, তাদের দুই সেনা মারা গেছেন।

দুই দেশের সীমান্তবর্তী লাচিন করিডোরে লড়াই হয়েছে।

আজারবাইজানের দাবি, সীমান্ত অঞ্চলে তারা একটি আর্মেনিয়ার গাড়ি ধাওয়া করে। কারণ তাদের সন্দেহ ছিল, ওই গাড়িতে করে বেআইনিভাবে অস্ত্র পাচার করা হচ্ছে। গাড়িটি থেকে আজারবাইজানের সেনার উপর গুলি করা হয়। আজারবাইজানও তার জবাব দেয়। 

অন্যদিকে আর্মেনিয়ার দাবি, সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে তাদের পাসপোর্ট অফিসারদের একটি গাড়ি যাচ্ছিল। আজারবাইজানের সেনা বিনা প্ররোচনায় তাদের উপর গুলি করতে শুরু করে। অফিসাররাও জবাব দিতে বাধ্য হন।

আজারবাইজানের দাবি, সীমান্ত অঞ্চলে তারা একটি আর্মেনিয়ার গাড়ি ধাওয়া করে।

নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে দুই দেশের লড়াইয়ের ইতিহাস দীর্ঘ। ২০২০ সালে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে রীতিমতো যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছিল। শেষ পর্যন্ত রাশিয়া ও অন্যান্য দেশের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধ হয়। যদিও আর্মেনিয়ার বক্তব্য, তাদের হাত থেকে কার্যত নাগর্নো-কারাবাখ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। 

যা নিয়ে দেশের ভিতরে বিক্ষোভও হয়েছে। নাগর্নো-কারাবাখে মূলত আর্মেনিয়ার অধিবাসীদের বসবাস। এখনো সেখানে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় মানুষ থাকেন। তাদের সঙ্গে আর্মেনিয়ার মূল ভূখণ্ডের যোগসূত্র লাচিন করিডোর। 

নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে দুই দেশের লড়াইয়ের ইতিহাস দীর্ঘ।

বেআইনি কয়লাখনি আছে বলে সেখানে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছেন বেশ কিছু পরিবেশ কর্মী। ওই পরিবেশ কর্মীদের আজারবাইজান পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আর্মেনিয়া। কিছু দিন ধরেই লাচিন করিডোরের অবরোধ নিয়ে উত্তাপ বাড়ছিল। এবার সরাসরি গুলির লড়াই হলো। এলাকায় এখনো যথেষ্ট উত্তাপ আছে।

ইত্তেফাক/ডিএস