বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে আলোচনার সুযোগ এখন দেখছি না: কাদের

আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৩, ১৫:০৬

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা যা করি প্রকাশ্যে করি। ব্যাকডোরে আলোচনা হবে না। আলোচনা হলে প্রকাশ্যেই হবে। তবে সেই সুযোগ এখন দেখছি না। কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না।’

সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন যতো গর্জে, বাস্তবে ততো বর্ষে না। নিঃশব্দ মানববন্ধন করছে তারা। তাদের আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। এমনকি কমে গেছে তাদের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণও। ক্ষমতায় যাওয়া নয়, বিএনপির লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হটানো। তারা ক্ষমতায় যাবে, এ নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাজনৈতিক আন্দোলন করলে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। কিন্তু সহিংস হলে আমরা যেহেতু সরকারে আছি, আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার তো দেশের শান্তি চাইবে ক্ষমতায় থাকার জন্য। সরকার কেনো গোলমাল লাগাবে? গোলমাল তো লাগাচ্ছে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। ক্ষমতায় থাকার জন্য শান্তিপূর্ণ একটি পরিবেশ সবাই চায়, যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেনো।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল যেভাবে বলছেন তাতে মনে হয় বাংলাদেশে এই মুহূর্তে খুব বেশি গরম পড়বে, বলবে দোষ আওয়ামী লীগের। হঠাৎ খুব বেশি শীত হলে দোষ আওয়ামী লীগের। হঠাৎ করে বন্যা এলে দোষ আওয়ামী লীগের। তারপর বলবে যে বাংলাদেশে বজ্রপাতে এতো লোকের মৃত্যু, এটাও দোষ আওয়ামী লীগের! এটা বিএনপি বলতে পারে। বিএনপির মুখে কোনো কিছু বাধে না।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগল কেন, একসঙ্গে এই ঘটনাগুলো ঘটছে। সব দোষ আওয়ামী লীগের ওপর চাপায়। ওখানে অক্সিজেন ব্লাস্ট হয়ে অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে গেছে, দোষ কার? আওয়ামী লীগে? চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কার্বন ডাই অক্সাইড আর নাইট্রোজেন একই জায়গায় রাখাতে সংঘর্ষ হয়ে ব্লাস্ট হয়েছে। দোষ কার? আওয়ামী লীগের?’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র আছে, নির্বাচন আছে। সরকার আছে, বিরোধী দল আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি, যার জন্য যে সংবিধান আছে সেই সংবিধান পরিবর্তন করে, কোনো প্রকার বিকল্প প্রস্তাব কারো অনুকূলে সমর্থন করার সুযোগ নেই। আমরা কোনো পরিস্থিতিতে সংবিধানের প্রশ্নে ছাড় দেবো না। সংবিধানের মধ্যেই সমাধান খুঁজতে হবে। এর বাইরে কোনো প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করবো না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে এখানেও হবে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালিত হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচন করতে হবে— সেই সংকটে আমরা পড়িনি।’

ইত্তেফাক/আর/এসকে