বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

স্বাধীনতা ঘোষণার একমাত্র বৈধ অধিকার ছিলো বঙ্গবন্ধুর: কাদের

আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৩, ১০:৩১

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনেককেই দেশের স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করা হয়; কিন্তু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণার একমাত্র বৈধ অধিকার ছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। যে ভাষণ ইউনেস্কো পৃথিবীর অন্যতম সেরা ভাষণের স্বীকৃতি দিয়েছে, সেই ভাষণ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে নিষিদ্ধ করেছিলো। এই দিবসের প্রতি, তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তাদের ন্যূনতম বিশ্বাস আছে, চেতনা ধারণ করে- সেটা আমরা বিশ্বাস করি না।

৭ মার্চ উপলক্ষ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদেন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তনের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ স্বাধীনতার ডাক। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সে দিনই ছিলো আসলে স্বাধীনতার মূল ঘোষণা। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারের পর রাত সাড়ে ১২টা যে স্বাধীনতার ঘোষণা সেটা আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু স্বাধীনতার মূল ঘোষণা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণার একমাত্র বৈধ অধিকার ছিলো বঙ্গবন্ধুর। কারণ, তিনি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। তৎকালীন পূর্ব বাংলায় ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ পেয়েছিলো। কাজেই, স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার ছিলো একমাত্র বঙ্গবন্ধুর। অন্য কারো স্বাধীনতার ঘোষণার বৈধ অধিকার ছিলো না। ঘোষক বলে যারা স্বঘোষিত ঘোষক, অনেকেই ছিলেন ঘোষণার পাঠক। পাঠক আর ঘোষক এক কথা না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিই গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। শেখ হাসিনা বরং মেরামত করেছে। রাতারাতি গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে না। দেশে যতটুকু গণতন্ত্র আছে, তা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হয়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে গণতন্ত্র কীভাবে চর্চা করেছে? যাদের ঘরেই গণতন্ত্র নেই, তারা কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। গণতন্ত্র আওয়ামী লীগই প্রতিষ্ঠা করে। এ দেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এসেছে। এ দেশ গড়বো আমরা। বিএনপি দেশ ধ্বংস করেছে; আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মেরামত করছি।

ইত্তেফাক/আর/এসকে