বড় একটা বিপদেই পড়ে গিয়েছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লামেঙ্গো। এক গোমেজের টাকা তারা জমা দিয়েছিল আরেক গোমেজের অ্যাকাউন্টে। যেহেতু সেই ‘ভুল গোমেজ’ও তাদেরই একজন খেলোয়াড়, তাই বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে ফ্লামেঙ্গো। ভুল গোমেজের অ্যাকাউন্ট থেকে আসল গোমেজের অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তার আগে পূর্ণ দুটি দিন অস্থিরতা নিয়ে নানা জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। সেই অস্থিরতার মধ্যেই দুনিয়া জুড়ে একটা প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ে-ফ্লামেঙ্গোর মতো একটা নামকরা পেশাদার ক্লাবের হিসাবরক্ষক বিভাগের পেশাদার কর্মীরা এত বড় একটা ভুল কীভাবে করলেন?
ঘটনাটা বেশ মজারই। গত জানুয়ারি পর্যন্তও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার হুয়াও ভিক্টর গোমেজ ডা সিলভা ফ্লামেঙ্গোতে ছিলেন। কিন্তু গত জানুয়ারিতে ২২ বছর বয়সী এই তরুণকে ইংলিশ ক্লাব উলভারহ্যাম্পটনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে ফ্লামেঙ্গো। চুক্তির অঙ্কটাও বেশ ভালোই-১৫ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকারও বেশি। এর মধ্য থেকে খেলোয়াড় হিসেবে হুয়াও গোমেজ পেয়েছেন ৩ লাখ ৬ হাজার পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ কোটি ৮১ লাখ ৪৮ হাজার ২২৫ টাকা।
ফ্লামেঙ্গো গোমেজের প্রাপ্য টাকাটা গোমেজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমাও করে দেয়। কিন্তু ফ্লামেঙ্গোর হিসাবকর্মীরা ভুলটা করেন নামে। গোমেজ নামে আরো একজন খেলোয়াড় রয়েছেন ফ্লামেঙ্গো ক্লাবে। তিনি বাস্কেটবল খেলোয়াড়। এই বাস্কেটবল খেলোয়াড়েরও পুরো নাম হুয়াও ভিক্টর গোমেজ ডা সিলভা। ফ্লামেঙ্গো হিসাবকর্মীরা ভুল করে তাই ফুটবলার গোমেজের টাকা জমা করে দেন বাস্কেটবল খেলোয়াড় গোমেজের নামে।
ভুলটা ধরা পড়ে ব্যাংক থেকে বাস্কেটবল খেলোয়াড় গোমেজের মোবাইল ফোনে পাঠানো টাকা জমাদানের বার্তায়। তবে বার্তাটি প্রথম পড়েন বাস্কেটবল তারকা গোমেজের মা। পরে তিনি দ্রুতই ছেলেকে তা দেখান। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ক্লাবকে জানান।