তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেছেন, আমাদের সিনেমা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্বে অনেক পুরস্কার অর্জন করেছে। আমাদের মেধাবী প্রাণেরা সিনেমা শিল্পকে আরও এগিয়ে নেবেন এটিই জাতির প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন, সিনেপ্লেক্স, সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে এক হাজার কোটি টাকার সহজতম ঋণ তহবিল গঠন করেছেন। চলচ্চিত্রের বিকাশে করোনা মহামারির মধ্যেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানে থেমে থাকেনি সরকার।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিব শুধু স্বাধীন রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠা করেননি, বাঙালি শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশেও তিনি ছিলেন সদানিবেদিত প্রাণ। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালে প্রাদেশিক পরিষদে বিল উত্থাপনের মাধ্যমে ঢাকায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করে এ দেশে সিনেমার প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। সেই চলচ্চিত্র আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে এবং পরবর্তীতে দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমরা বিশ্বে ৬০তম জিডিপির দেশ ছিলাম। গত ১৪ বছরে ২৫টি দেশ পেছনে ফেলে আমরা এখন ৩৫তম এবং পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটিতে ৩১তম। পাকিস্তান এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে, তাদের পার্লামেন্টে শেখ হাসিনার প্রশংসা হয়। এটিই বঙ্গবন্ধুর দেশ রচনার সার্থকতা, বঙ্গবন্ধুকন্যার দেশ পরিচালনার সার্থকতা।
প্রসঙ্গত, ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও ‘নোনাজলের কাব্য’ যুগ্ম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, মো. সিয়াম আহমেদ ও মীর সাব্বির মাহমুদ যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এবং আজমেরী হক বাঁধন ও তাসনোভা তামান্না যৌথভাবে ২০২১ সালের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেছেন।