রিয়াল বেতিসকে হারিয়ে লিভারপুলের কাছে বড় হারের বিপর্যয় থেকে বেড়িয়ে এসেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ইউরোপা লিগের শেষ ষোলর প্রথম লেগে বেতিসকে ৪-১ গোলে পরাজিত করেছে ম্যানইউ।
গত রোববার অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের কাছে ৭-১ গোলের বিশাল এক পরাজয় দেখেছে ইউনাইটেড। ১৯৩১ সালের পর এটি ছিল ক্লাবটির সবচেয়ে বড় পরাজয়। তবে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) একই দল নিয়েই ইউরোপা মিশনে নেমেছিলেন কোচ এরিক টেন হাগ। ম্যাচটিতে ফর্ম ফিরে পায় তার শিষ্যরা। খেলা শেষে টেন হাগ বলেন, ‘একটি ব্যর্থতার পর দলের প্রতিক্রিয়া আপনারা দেখেছেন। এই মৌসুমে এটিই প্রথম ঘটনা নয়। আমার মনে হয় অন্তত ৫/৬ বার এমনটি ঘটেছে এবং আমরা সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এই দলটির চরিত্র এমনই। সুতরাং দলটিকে সাধুবাদ জানাই।’
মার্কাস রাশফোর্ডের ৬ষ্ঠ মিনিটের গোলে শুরুতেই এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। এটি ছিল এই মৌসুমে তার ২৬তম গোল। তবে ৩২ মিনিটে বেতিসের হয়ে গোলটি পরিশোধ করে দেন আয়োজ পেরেজ। দূর থেকে কৌনিক শটে গোল করেন তিনি। বিরতির পর দুই দলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দেন সাম্প্রতিক সময়ে ইউনাইটেডের দুই সমালোচিত তারকা এন্টনি ও ব্রুনো ফার্নান্দেস।
ম্যাচের ৫২ মিনিটে চমৎকার এক বাঁকানো শটে এন্টনি লক্ষ্য ভেদ করার পর ৫৯ মিনিটে লুক শ’র কর্নারের ক্রসে দর্শনীয় হেডে গোল করেন ফার্নান্দেস। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে ইউনাইটেডের হয়ে শেষ গোলটি করেন ওয়াউট ওয়েগর্স্ট। এটি ছিল ইউনাইটেডের হয়ে ১৫ ম্যাচ খেলা ওই তারকার দ্বিতীয় গোল। ইউনাইটেড কোচ বলেন, ‘আজ ব্রুনো ছিল দুর্দান্ত। প্রথম মিনিট থেকেই সে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। দলকে ছন্দে ফিরিয়েছে এবং একটি গোলও করেছে, আমি খুবই খুশি।’