মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

সরকারের ব্যাংক ঋণ ৩ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা

আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৩০

ব্যাংকিং খাতে সরকারের ঋণ বাড়ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে খাতটিতে সরকারের ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৫ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকে সরকারের ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৩৯৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, নতুন বছরের দ্বিতীয় মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। এর আগের মাস জানুয়ারিতে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বেড়ে ছিল ৩ লাখ ৪ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১০ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। এর আগে চলতি অর্থবছরের আগস্ট শেষে ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা। এর পরের মাসে ঋণ স্থিতি দাঁড়ায় ২ লাখ ৮২ হাজার ৭১২ কোটি টাকায়। নভেম্বর মাসে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর শেষে যার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ২ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। হিসাব অনুযায়ী প্রতি মাসেই ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বাড়ছে।

ফেব্রুয়ারি মাস শেষে ব্যাংক খাত থেকে সরকার মোট ঋণের মধ্যে ১ লাখ ৫ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। এছাড়া দেশের তপশিলি ব্যাংকগুলো থেকে নিয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। আগের অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বেশি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য সরকারের। এদিকে, চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকেও ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।

এদিকে, উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম এমনিতেই মানুষের সঞ্চয়ের ক্ষমতা কমেছে। ব্যাংকের আমানত ভেঙে পরিবারের খরচ মেটাতে হচ্ছে অনেককে। সঞ্চয়পত্র কেনাবেচার তথ্যও বলছে নতুন করে কেনার তুলনায় ভাঙানোর পরিমাণও কম নয়।

অন্যদিকে সরবরাহ সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি করায় বাজার থেকে টাকা গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে, যা তৈরি করেছে তারল্য সংকট। কলমানির সাম্প্রতিক তথ্যও তাই বলছে। চাহিদা মেটাতে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের কাছ থেকে উচ্চ সুদে টাকা ধার করছে।

ইত্তেফাক/এমএএম