সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোতে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হবে আগামী ২৩ মার্চ থেকে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে ২৪ মার্চ থেকে রোজা শুরু হওয়ার কথা। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা সংস্থার (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার-আইএসি) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান কেন্দ্র জানিয়েছে, ২২ মার্চ কিছু আরব দেশে চাঁদ দেখা যেতে পারে। সে অনুযায়ী ২৩ মার্চ থেকে আরবে পবিত্র রোজা শুরু হবে। এবার ২৯টি রোজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদ বিভাগ জানিয়েছে, ২৩ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান শুরু হলে ২১ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এবার আরবে পবিত্র ঈদ হবে শুক্রবার আর বাংলাদেশে ২২ এপ্রিল শনিবার। তবে এসব নির্ভর করবে চাঁদ দেখার ওপর। এদিকে পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে আরব দেশগুলোতে পণ্যদ্রব্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা হয়েছে।
দেশগুলোতে রমজান জুড়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়ে যাচ্ছে। পণ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারব্যবস্থা কঠোরভাবে মনিটরিং করা হয়।
এদিকে ২৪ মার্চ প্রথম রোজা ধরে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রোজার প্রথম দিন নির্ধারণ হবে। ২৪ মার্চ (শুক্রবার) ১৪৪৪ হিজরির প্রথম রমজান হলে ঢাকায় সেহরির শেষ সময় হবে ৪টা ৩৯ মিনিটে। ঐ দিন ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ৪টা ৪৫ মিনিটে। ইফতারের সময় শুরু হবে ৬টা ১৪ মিনিটে। বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী, ২৪ মার্চ প্রথম রোজা হলে ২১ এপ্রিল হবে ২৯ রমজান। ঐ দিন সেহরির শেষ সময় ৪টা ৭ মিনিট। ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ৪টা ১৩ মিনিটে। আর ইফতার শুরু হবে ৬টা ২৭ মিনিটে। এতে বলা হয়, সেহরির শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট আগে ধরা হয়েছে। ফজরের ওয়াক্ত শুরু সুবহ সাদিকের ৩ মিনিট পর ধরা হয়েছে। এ কারণে সেহরির সতর্কতামূলক শেষ সময়ের ৬ মিনিট পর ফজরের আজান দিতে হবে। এতে আরও বলা হয়, সূর্যাস্তের পর সতর্কতামূলকভাবে ৩ মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইফা জানায়, ঢাকার সঙ্গে একই সময়ে সেহরি করবেন নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, ভোলা, শেরপুর ও কুড়িগ্রামের মুসলিমরা। অন্যদিকে ঢাকার সঙ্গে একই সময়ে ইফতার করবেন গাজীপুর, মাদারীপুর, ময়মনসিংহ, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির লোকজন। বাকি জেলাগুলোর ক্ষেত্রে ঢাকার সঙ্গে সেহরি ও ইফতারের সময়ে ১ থেকে ৯ মিনিট পর্যন্ত পার্থক্য থাকবে।