বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

রাবিতে উপাচার্যকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা

আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, ১৫:১০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ ও দাবি মেনে না নেওয়ায় উপাচার্য ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ সহ-উপাচার্য ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রক্টর থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ও বিজিবি আমাদের ওপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়েছে। আহত করেছে আমাদের ভাইকে। হাসপাতালগুলো এখন আহত রাবি শিক্ষার্থীতে ভরপুর। তারা মেডিক্যালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। আমাদের দাবি ছিল উপাচার্য বিনোদপুরে (ঘটনাস্থল) গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করবে। কিন্তু ভিসি সেখানে যেতে রাজি হয়নি। এখন আমরা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। তাদের পদত্যাগ চাই।’ 

অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা প্রশংসা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম. তারেক নূরের ভূমিকায়। তিনি সারারাত জেগে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন। 

এ সময় ছাত্ররা বলেন, ‘ছাত্র উপদেষ্টা স্যারকে প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হোক। তিনি সত্যিকারের ছাত্রবান্ধব। সারারাত জেগে আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিয়েছেন। বর্তমান প্রক্টর একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও মেরুদণ্ডহীন। তাকে আমরা চাই না।,

এর আগে, উপাচার্য আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীদের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে আসার আহ্বান করে। কিন্তু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিনোদনপুর গিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনায় আসতে বলে। এতে রাজি না হলে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ রেখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে এলাকাবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষ চলার একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় আধা-সামরিক বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৭ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়। অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর পরই রাতের মধ্যেই বিজিবি সদস্যদের সেখান থেকে প্রত্যাহার করে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে এখনো বিপুল সংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।    

ইত্তেফাক/এসজেড