শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ফলোআপ

ঝুঁকিপূর্ণ ৪ ভবন ভেঙে ফেলার চিঠি এখনো পায়নি জবি

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩, ২০:২৭

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সেই ঝুঁকিপূর্ণ ৪ ভবন তিন মাসের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কিন্তু এখনো সেই চিঠি পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

দুর্যোগ মোকাবিলায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে সরকারি ও স্বায়ত্বশায়িত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ভূমিকম্প সহনশীলতা প্রকল্প (আরবান রেজিলিয়েন্স) এর আওতায় ২ হাজার ৭০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২০৭টি হাসপাতাল, ৩৬টি থানা ও ৩০৪টি অন্যান্য ভবনের জরিপ চালানো হয়। এসব ভবনের মধ্যে ৫৭৯টির ‘প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট’ (পিইএ) করা হয়। এতে ৪২টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়। এরমধ্যে জবির ঝুঁকিপূর্ণ ৪ ভবন ছিল। 

গত শনিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর উসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় নিয়ে আসেন নগর উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন। 

তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসহ বাকি এসব ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব ভবন ভাঙতে হবে অন্যথায় ব্যবস্থা নেবে রাজউক।’

জানা যায়, রাজধানীর ব্যস্ততম অংশ পুরান ঢাকার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় বিশ হাজার শিক্ষার্থীর এই বিদ্যাপীঠে একাডেমিক ও প্রশাসনিক চারটি ভবনই অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত। তাই যেকোনো দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকতা-কর্মচারীরা আতঙ্কের মধ্যে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। 

ঝুঁকিপূর্ণ ৪ ভবন ভেঙে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘রাজউক কোন চারটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলেছে বিষয়ে চিঠি পায়নি। রাজউক থেকে চিঠি পেলে তারপর আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

সম্প্রতি সিদ্দিকবাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে বিস্ফোরণে প্রাণহানি এবং সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পর ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। 

ইত্তেফাক/এনএ