মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি বিক্রির অভিযোগ 

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩, ২২:১৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এসব মাটি পুকুর ও তিন ফসলি জমি ভরাটের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে । এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ধরখার ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা নয়ন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধরখার ইউনিয়নের নুরপুর কবরস্থান থেকে তিতাস নদী পর্যন্ত ২.২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল খনন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ১ কোটি ২৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকার এ প্রকল্পের ঠিকাদারি পেয়েছে ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। কাজ পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় জসিম মিয়া, মুসা মিয়া, রাসেল মিয়া ও নুরুল ইসলামকে দিয়ে খালের খনন কাজ করাচ্ছে। কিন্তু তারা খালের খননকৃত মাটি পাড়ে না রেখে তিন ফসলি জমি ও পুকুর ভরাটের জন্য বিক্রি করে দিচ্ছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, লাখ লাখ টাকার খালের মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। এসব মাটি পুকুর ও তিন ফসলি জমি ভরাটে ব্যবহার করা হচ্ছে। নীতিমালা অনুযায়ী খালের মাটি পাড়ে রাখার নিয়ম থাকলেও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে খালের পাড় ভেঙে পড়া ও ফসলি জমি খালে পতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে এসব মাটি ধরখার এলাকার জসিম ও মুসা, রুটি এলাকার রাসেল, ভাটামাথা এলাকার নুরুল ইসলাম এসব মাটি বিক্রি করছে। এদের সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতাও জড়িত রয়েছে।

ধরখার ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা নয়ন বলেন, খালের পাড়ে জমিতে যাওয়ার জন্য একটি মাটির রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটি অবস্থা তেমন ভালো না। ঠিকাদারকে অনুরোধ করেছিলাম খালের মাটি দিয়ে রাস্তাটি মেরামত করে দেওয়ার জন্য। এতে কৃষকের সুবিধা হবে এবং খালের পাড়ও মজবুত হবে। কিন্তু ঠিকাদার স্থানীয় একটি চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ করে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে লাখ লাখ টাকার সরকারি মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। এসব মাটি দিয়ে পুকুর ও তিন ফসলি জমি ভরাট করা হচ্ছে।

ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাটি বিক্রি করছি না। জায়গা না থাকায় কিছু মাটি পাশের জমি ও পুকুরে ফেলছেন। এতে কেউ খননকারীদের টাকা দিলে সেটা তিনি জানেন না। 

ধরখার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আক্তার হোসেন বলেন, আমি মাটি বিক্রির সঙ্গে জড়িত নই। খাল থেকে ২-৩’শ ট্রাক মাটি এলাকার কবরস্থানে ফেলেছি। এজন্য যদি ফাঁসি হয় হবে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী খালের মাটি বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। মাটি খাস জমি উন্নয়নে ব্যবহার হবে। খালের মাটি খালের পাড়ে রাখা হবে। মাটির পরিমাণ বেশি হলে নিলামের মাধ্যমে মাটি বিক্রি করা হবে। এ বিষয়ে ঠিকাদারকে তলব করা হবে।

ইত্তেফাক/এবি/পিও