ভুল চিকিৎসায় জর্ডানের নাগরিক গালফ এয়ারের পাইলট মোহাম্মদ ইউসুফ হাসান আল হেনদির মৃত্যুর ঘটনায় ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কনসালট্যান্ট অব দ্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন অ্যান্ড ইমার্জেন্সি মেডিসিনের প্রফেসর ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন মৃতের বোন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তালা এলহেনডি জোসেফানো।
বাদী পক্ষের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ জানান, শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত বছর ১৪ ডিসেম্বর সকালে ভিকটিম পাইলটকে গালফ এয়ারের একটি ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে রাত পৌনে ৩টায় তিনি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি নেন এবং হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে হোটেল লা মেরিডিয়ান হতে রওনা দেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান। ১৫ ডিসেম্বর ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া শুরু হলে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন। ভোর ৫টার দিকে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রফেসর ওমর ফারুক এবং তার সঙ্গে থাকা ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সরা তার চিকিৎসায় কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর পর থেকে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত তাকে কোনো প্রকার চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। চিকিৎসা না করায় তিনি দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে মারা যান। চিকিৎসক তার দায়িত্বে অবহেলা করেছেন।