শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৬ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

দালালের আখড়া রাণীনগর ভূমি অফিস

আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৩, ১৮:৩৪

বৃদ্ধ আবুল হোসেন স্ত্রীর ভাগের প্রায় ৫ শতাংশ জমি পাবেন শ্বশুরবাড়ি থেকে। সেই জমি অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। তা ফিরে পেতে আবুল হোসেন সব প্রক্রিয়া শেষে নওগাঁর রাণীনগর ভূমি অফিসে আবেদন করেন মিস কেসের। কিন্তু প্রায় ১০ মাস পার হয়ে গেলেও তার আবেদনের ওপর স্মারক নম্বরটি পর্যন্ত পড়েনি। 

আবুলের মতো এমন শত শত ভুক্তভোগী আছেন যারা ভূমি অফিসে এসে দিনের পর দিন ধর্না দিয়েও পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত সেবা। দালাল ও অফিসের লোকদের সঙ্গে চুক্তি না করলেই এমন দুর্ভোগে পড়তে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমির খাজনা, খারিজ, নামজারি, মিস কেসসহ জমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য ভূমি অফিসে এলে দালাল ছাড়া সেই সমস্যার আবেদনপত্র জমা দিলে তা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ দালালকে চাহিদা মতো অর্থ দিলেই চোখের নিমিষেই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। এতে বেশি পড়েন প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেবা প্রত্যাশীরা। দালালরা তাদের কাছ থেকে ধাপে ধাপে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে নেয়। তিন বছরেও একটি মিস কেসের সমস্যা সমাধান হয়নি এমনও নজির রয়েছে এ অফিসে। কর্মচারীরাও ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না বলে অভিযোগ সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের।  

রাণীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান দাবি করেন বর্তমানে ভূমি অফিসে কোনো দালাল নেই। তিনি বলেন, কেউ কর্মচারী ও দালাল কর্তৃক হয়রানি হওয়ার অভিযোগ করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জনবল কম হওয়ার কারণেও অনেক সময় সমস্যা সমাধানে দেরি হয়ে যায়। তবুও আমরা উন্নতমানের সেবা প্রদান করতে বদ্ধ পরিকর।

ইত্তেফাক/এবি/পিও