কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ৯নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ভোরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।
নিহত মাহবুবুর রহমান (৩৪) উখিয়ার ক্যাম্প-৮ এর ইস্ট এলাকার বাসিন্দা আবু শামার ছেলে। ক্যাম্প ৫-এ তার শ্বশুর বাড়ি। আর লাশ মিলেছে ক্যাম্প ৯ এলাকায়। বুধবার (১৫ মার্চ) ভোরেও দুর্বৃত্তের গুলিতে মোহাম্মদ রশিদ (৩৫) নামে এক রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক খুন হন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. আলী বলেন, ৯ নম্বর ক্যাম্পে এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে পেছনে হাত বাঁধা, মুখ রশি দিয়ে আটকিয়ে গলা কাটা অবস্থায় যুবকের লাশ পাওয়া যায়। বাম পায়েও ক্ষত রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরে ক্যাম্পে অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। ঘটেছে একাধিক মাঝি, সাব মাঝি ও স্বেচ্ছাসেবকসহ সাধারণ রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনা। বুধবারও রাতে পাহারা শেষ করে ভোরে নিজ শেডে যাওয়ার সময় রশিদ নামে এক রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবককে সন্ত্রাসীরা গুলির পর মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ফেলে রেখে চলে গেছে। এর ২৪ ঘণ্টা না যেতেই আরেক সাধারণ রোহিঙ্গাকে খুন হয়েছে। এর মাঝে ৫ মার্চ বালুখালী এলাকার ১১ নম্বর ক্যাম্পে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় তিন হাজার বাড়ি পুড়ে গেছে। একের পর এক অপরাধ কর্মে সাধারণ রোহিঙ্গারা আতংকে আছে। এরই মাঝে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো প্রথম তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মিয়ানমারের ১৭ প্রতিনিধি বুধবার থেকে টেকনাফ অবস্থান করছেন। সেই সময়েই দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে।