বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

রাজকীয় মশা 'স্যাবেথেস সায়ানিয়াস'

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৪:১৬

চমৎকার লোমশ পা, ঝলমলে দেহ, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সাথে রঙিন পাখার এই রাজকীয় মশার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। এটি স্যাবেথেস সায়ানিয়াস প্রজাতির মশা। বিরল প্রজাতির এই মশাকে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায়। আমরা সচরাচর যে ধরনের মশা দেখতে পাই, সেগুলোর চেয়ে বেশ সুন্দর এই প্রজাতির মশা।

সুন্দর এই মশার ছবিটি তুলেছেন কানাডার অন্টারি প্রভেন্সের গিল উইজেন। যিনি একজন প্রশিক্ষিত কীটতত্ত্ববিদ। ২০২১ সালের ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার প্রতিযোগিতায় তার কাজ অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিলো।

স্যাবেথেস সায়ানিয়াস প্রজাতির এই মশার গায়ে নীল, বেগুনি ও কালোর মিশেল। দুই পাশে আছে রহস্যময় পালকের মতো প্যাডেল। এ কারণেই মশার এ প্রজাতি সুন্দর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এ পালকের কাজ কী, তা বিজ্ঞানীরা এখনো জানতে পারেননি। সৌন্দর্যের কারণে এই মশাকে রাজকীয় মশা হিসেবেও অভিহিত করা হয়।

চাইলেই এদের দেখা পাওয়া যায় না। এই প্রজাতির মশা ছদ্মবেশী হয়ে থাকে। ফলে এদের ছবি তোলা বেশ কঠিন কাজ।

বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফার গিল উইজেন জানিয়েছেন, ‘মশার ছবি তোলা সবচেয়ে কষ্টকর। কারণ তারা ঘনঘন জায়গা পরিবর্তন করে। এজন্য মশার ছবি তুলতে গেলে ফটোগ্রাফারকেও স্থির হয়ে থাকতে হয়। আবার ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ব্যবহার করলেও বিপদ। মশা দ্রুত সেই স্থান ত্যাগ করে।’

পৃথিবীতে ৩ হাজার ৩০০ টিরও বেশি প্রজাতির মশা রয়েছে। এদের মধ্যে শুধু স্ত্রী মশারাই রক্ত খেয়ে থাকে এবং ডিম উৎপাদন করতে পারে। মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীতজ্বর, জিকা ভাইরাস প্রভৃতি রোগ হয়ে থাকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই মশা সবার কাছেই ভয়ের কারণ।

ইত্তেফাক/আর