শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

দুই মামলায় স্বামীসহ গ্রেপ্তার আতঙ্কে মাহিয়া মাহি!

আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৩, ০২:৪১

ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহির অভিযোগ করেছেন, তার স্বামী ব্যবসায়ী-আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের গাড়ির শোরুমে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালে মাহির ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে এমন অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়া ওই ফেসবুক লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে 'ঘুষ নিয়ে প্রতিপক্ষকে জমি দখল দেওয়ার চেষ্টা'রও অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে ফেসবুক লাইভে মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানায় মামলাটি করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি রকিব সরকার এবং দ্বিতীয় আসামি মাহিয়া মাহি।

মাহি বলেন, আমার স্বামীসহ আমার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। একটি হয়েছে ওখানে মারামারির ঘটনায় অন্যটি হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।

এর আগে ফেসবুক লাইভে মাহিকে নিয়ে রকিব সরকার বলেন, গাজীপুর মহানগরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার গাড়ির একটি শোরুম রয়েছে। স্থানীয় ইসমাইল হোসেন ও মামুন সরকার লোকজন নিয়ে শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে হামলা চালিয়ে ওই শোরুমে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। হামলাকারীরা শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাব, দরজা–জানালার কাচ, টেবিল–চেয়ার ভাঙচুর এবং শোরুমের সাইনবোর্ড খুলে নেয়। অফিস কক্ষ তছনছ করে এবং টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রকিব সরকারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

লাইভে রকিব সরকার অভিযোগ করেন, জিএমপি পুলিশ দেড় কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে ইসমাইলের পক্ষে জমি দখল করে দিতে চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘জমি ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে রকিব সরকার আমার কাছে এক কোটি টাকা দাবি করেছিলেন। যেখানে এক কোটি টাকা দিলে সমস্যা সমাধান হয়, সেখানে কেন আমি পুলিশকে দেড় কোটি টাকা দেব? পুলিশ আমার পক্ষে থাকলে আজ আমি কেন মার খেলাম, কেন আমি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়ে অভিযোগ দিলাম।’

এ ব্যাপারে জিএমপি কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম মাহিয়া মাহির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দৈনিক ইত্তেফাক-কে বলেন, মাহির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে পুলিশকে জড়ানোর কিছু নেই। এ ঘটনায় আমি কিংবা মহানগর পুলিশের সংশ্লিষ্টতার কোনো সুযোগ নেই।

রকিব সরকার ও মাহিয়া মাহি পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য বর্তমানে সৌদি আরব অবস্থান করছেন। শনিবার সস্ত্রীক তিনি দেশে ফিরবেন। মাহির ভাষ্য, বাসন থানার একটি টিম এয়াপোর্টের দিকে রওনা দিয়েছে। তারা বিমানবন্দরে নামার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।

ইত্তেফাক/বিএএফ/এমএএম