শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকসহ ১১ জন কারাগারে

আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৩, ১৭:৪৪

কুমিল্লার দেবীদ্বারে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে পুলিশের মামলায় ২১০ আসামির মধ্যে আটক ১১ জনকে জেলে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকালে ভুক্তভোগীর ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। 

এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক মুক্তার আহমেদ মলির করা মামলায় ১০ আসামিকে একইদিন কারাগারে পাঠানো হয়।

তারা হলেন উপজেলার শাকতলা এলাকার লুৎফুর কবির ভূঁইয়া সোহাগ (৩১), মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া (৪৮), আলী আশ্রাফ (৪৭), ছবুর (১৯), মাশিকাড়া এলাকার শাহ পরান (৩০), ওয়াজকুরুনী (৩৫), জাহাঙ্গীর আলম (৫০), পদ্মকোট এলাকার ইউনুছ (৩৬), জিয়াউর রহমান (৩২), হোসেনপুর এলাকার আব্দুল কাদের (৫৫)

জানা যায়, গত বুধবার সকালে প্রধান শিক্ষক মো. মোক্তল হোসেনের বিরুদ্ধে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা জানাজানি হলে দুপুরে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় তারা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর তার জামাতা মোটরসাইকেল নিয়ে স্কুলে আসলে তার মোটরসাইকেলেও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ রাবার বুলেট ছোঁড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় রাত ১০ পর্যন্ত এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। 

পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেন। 

দেবিদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এতে প্রায় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকসহ ১১ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ইত্তেফাক/এবি/পিও