শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

চাল-আটার দামে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৭:০১

আমদানি নয়, নানা কারণে বিশ্বব্যাপী চড়া ছিল অভ্যন্তরীণ খাদ্যপণ্যের দাম। বাংলাদেশের বাজারে আটা ও মোটা চালের বাজারে অস্বস্তি ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে গমের আটার দাম কমতে শুরু করেছে, কিন্তু আমদানিতে যথেষ্ট মন্দা। মোটা চালের দামে অস্থিরতা রয়ে গেছে, তবে বোরো মৌসুমে কিছুটা স্বস্তি ছিল। চাল-আটার দামে বাজারে অস্বস্তি থাকলেও খাদ্যে নিরাপদ বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে খাদ্যমূল্য নিয়ে বৈশ্বিক চিত্র এবং বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির এ তথ্য উঠে এসেছে।

শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে পাঠানো ‘ফুড সিকিউরিটি আপডেট’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আটা ও চালের বাজারে অস্বস্তি থাকলেও খাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ নিরাপদে আছে। বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে গমের আটার দাম কমতে শুরু করেছে, কিন্তু আমদানিতে যথেষ্ট মন্দা। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি এবং উচ্চ পরিবহন খরচের কারণে প্রতি বছর গমের দাম ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি রাখা হয়। মোটা চালের দামে অস্থিরতা রয়ে গেছে, তবে বোরো মৌসুমে কিছুটা স্বস্তি ছিল। খাদ্য সংগ্রহ কর্মসূচির মাধ্যমে শস্যভান্ডার পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে বলে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

এতে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ খাদ্য মূল্যস্ফীতি বিশ্ব জুড়ে উচ্চ রয়ে গেছে। অক্টোবর ২০২২ এবং ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এর মধ্যে সর্বশেষ মাসে খাদ্যের তথ্যে দেখা গেছে, প্রায় সব নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা গেছে।  নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর ৯৪ শতাংশের ওপরে মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে। ৮৬ শতাংশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর, এবং উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ৮৭ দশমিক শূন্য শতাংশ দেশে মূল্যস্ফীতি দুই অংকের ঘরে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোর প্রায় ৮৭ শতাংশ উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন হচ্ছে। আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দক্ষিণ এশীয়ায় আফগানিস্তান খাদ্যসংকটের সম্মুখীন হচ্ছে, যেখানে চার মিলিয়ন শিশুসহ মানুষ তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। প্রায় ৫৩ শতাংশ আফগান তাদের খাদ্যচাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। জলবায়ুসংকট খাদ্যসংকটকে আরো তীব্র করেছে। ৩৪টির মধ্যে ৩০টি প্রদেশে সুপেয় পানিসংকট দেখা দিয়েছে। বেশ কিছু কারণে শিশুস্বাস্থ্যে ঝুঁকি দেখা গেছে।

 

ইত্তেফাক/ইআ