শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

দেশে আর কোনো ষড়যন্ত্রের নির্বাচন হবে না: ফখরুল

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৭:৩৯

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার আবারও ষড়যন্ত্রের নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। তারা যে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ তৈরি করছে, আমরা তাতে আর পা দেবো না। এবার দেশে আর কোনো ষড়যন্ত্রের নির্বাচন হবে না।

রোববার (১৯ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই, তাহলে বাংলাদেশে কেন- এ বিষয়ে ফখরুল বলেন, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামকে নিয়ে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। এমনকি ওই দাবিতে তারা দেশে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে দিয়েছিল। বাসের মধ্যে গানপাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছিল। তারা সে সময় বলেছিলো যে বাংলাদেশে যে দল ক্ষমতায় যায় পরে তারা ফের ক্ষমতায় থাকার জন্য ম্যানিপুলেশন করে। খালেদা জিয়া তখন দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দলমত নির্বিশেষে সবার একটা মত ছিল যে, বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক। জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা হওয়ার কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেরাই ১৯৭৫ সালে সেই পদ্ধতি নষ্ট করে ফেলেছে। কারণ আওয়ামী লীগ সবসময় সামন্ততন্ত্রে থাকতে চায়।

আওয়ামী লীগের মধ্যে সবসময় একটা জমিদারি ভাব থাকে উল্লেখ করে তিনি বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। সেজন্যই সে সময় তিরিশ হাজার তরুণ যুবককে হত্যা করেছে। কারণ তারা সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছিল। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে এমন ক্ষেপে গিয়েছিল যে তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল।

তিনি বলেন, আমরা উঠে আসতে শুরু করেছি। এটাকে আরও জোরদার করতে হবে, বেগবান করতে হবে। এবার রুখে দাঁড়াতে হবে। আর চুপ করে থাকা যাবে না। জেগে উঠে আমার অধিকার আমাকে আদায় করে নিতে হবে। এ দেশের মানুষের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাত হোসেন।

ইত্তেফাক/এসকে