১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস। এ উপলক্ষে শুক্রবার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জেনেভায় অত্যন্ত আনন্দমুখর পরিবেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে শুরুতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রবাসী বাঙালি ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাড়ম্বর উপস্থিতিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত মো. সুফিউর রহমান এবং প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এমপি।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান ইতিহাসের আলোকে বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে ও বাঙালিদের জন্য আলাদা একটি রাষ্ট্রগঠনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরেন। তিনি সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ এবং বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার আন্দোলনে তার অগ্রণী ভূমিকা উল্লেখ করে বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে তাঁর অবদান তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও আদর্শকে প্রবাসে বসবাসরত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য রাষ্ট্রদূতসহ মিশনের সব কর্মকর্তা কর্মচারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, দৃঢ়চিত্তের অধিকারী বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত পরোপকারী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুই মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের বীরাঙ্গনা ঘোষণা করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নতুন প্রজন্মকে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এছাড়াও ‘গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও নারীর অধিকার’ রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের ওপর বক্তব্য দেন দূতাবাসের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক। উপস্থিত ছিলেন, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম খান দুলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মিয়া, সাবেক সহ সভাপতি হারুন অর রশিদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আইয়ান জুনায়েদ প্রমুখ।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা সভাশেষে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত প্রবাসী শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বয়স ভিত্তিক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
