শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন: পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩, ২০:৩৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরশিবপুর গ্রামের লিল মিয়ার ছেলে আবদুল আহম্মদ নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (১৯ মার্চ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দায়রা জজ আদালতে ভুক্তভোগীর মা আমেনা বেগম মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন বাঞ্ছারামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরুন কান্তি দে, সহকারী উপ-পরিদর্শক আল-আমিন মানিক, ও উপজেলার শিবপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার রবিউল্লা। তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

জানা গেছে, মামলার আসামি রবিউল্লার সঙ্গে আবদুল আহম্মদ পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল । রবিউল্লার বিরুদ্ধে মামলাও করেন তারা। এ ঘটনার জের হিসেবে গত ১৪ মার্চ রবিউল্লার সহযোগিতায় এএসআই আল আমিন সাদা পোষাকে ৪ পুলিশ সদস্যকে নিয়ে আবদুল আহম্মদকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। রবিউল্লার কথামত পুলিশ পরিদর্শক তরুন কান্তি দে, ও এএসআই আল আমিন মানিক  আবদুল আহম্মদকে মারধর করেছে বলে জানান তার মা আমেনা বেগম। ভুক্তভোগীর মা সংবাদ সম্মেলন করবে বিষয়টি জেনে পুলিশ ১৬ মার্চ আবদুল আহম্মদকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠান। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। চিকিৎসার পর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। 

অভিযোগকারী আমেনা বেগম জানান, ১৪ মার্চ আমার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। ১৬ মার্চ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় আমার ছেলেকে অমানবিক নির্যাতন করেছে পুলিশ । আমি মামলাটির জুডিশিয়াল তদন্তের দাবি জানাই। 

বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নুরে আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আবদুল আহম্মদকে থানায় কোনো মারধর করা হয়নি। মিথ্যা মামলাটি আজ সোমবার (২০ মার্চ) আদালত খারিজ করে দিয়েছে। 

ইত্তেফাক/পিও