যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই আমাদের প্রকৃত শক্তি। তাদের পরিশ্রম এবং শক্তির ওপর ভর করেই আমরা নেতা হই, আমাদের রাজনীতি প্রসারিত হয়। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কখনও বেইমানি করে না, বেইমানি করি আমরা নেতারা। নেতাদের বলবো, আমাদের তৃণমূল কর্মীদের সম্মান দিয়ে কথা বলবেন, ওরাই আমাদের প্রধান ভরসা। ওরাই বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রকৃত প্রধান সৈনিক। ওরা আছে বলেই আমরা নেতা।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্কুল মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের কয়েকটি ওয়ার্ডের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতিতে নৈতিকতা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোন নেতা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত হলে পৃথিবীর কোনো দেশেই তিনি রাজনীতি করতে কিংবা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। খালেদা জিয়া শুধু নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধই নয়, এতিম শিশুদের কল্যাণে রক্ষিত অর্থ আত্মসাতের কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত। এ ধরণে জঘন্য অপরাধের আভিযোগ পৃথিবীর খুব কম রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধেই শোনা যায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারে না। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত ইতোমধ্যে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। এ ধরণের কৃতকর্ম করার জন্যই বিএনপি এখন নির্বাচনে যেতে চাচ্ছে না, বিষয়টি এখন পরিষ্কার।
নির্বাচনে যাওয়ার ক্ষমতা বিএনপির নেই উল্লেখ করে শেখ পরশ বলেন, আমার বিশ্বাস দেশ, জাতি, সমাজ, পরিবারসহ সব স্থানে- এমনকি বিরোধী রাজনীতিতেও সঠিক নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ। একটা পরিবারে যদি সঠিক নেতৃত্ব না থাকে, তাহলে ওই পরিবারে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে না। সমাজেও সঠিক নেতৃত্বের অভাবে হানাহানি, মারামারি, সহিংসতা দেখা দেয়। নেতৃত্বের সংকট থাকলে কোনো দেশই উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হতে পারে না।
বাংলাদেশ উন্নয়ন-অগ্রগতির রোল মডেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা শুধু সম্ভব হয়েছে যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। সেই নেতৃত্বের নাম বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য তাকে পুনরায় ২০২৪ সালে নির্বাচিত করার জন্য রাজনৈতিকভাবে আমাদের রাজপথে, মাঠে-ময়দানে থাকতে হবে, জনগণের পাশে থাকার কাজ অব্যাহত রাখতে হবে এবং ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে।
তিনি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের কাছে আমার বার্তা- আমাদের দেশপ্রেম আনতে হবে আর দেশপ্রেম দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদেরকে শহীদদের রক্তের মূল্য দিতে হবে। দেশ গড়ার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা অনেকে নিজেদেরকে ‘মুজিবাদের’ সৈনিক বলে দাবি করি। মুজিব মানে দেশপ্রেম, দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ শিকার, জাতীয়তাবোধ, সততার রাজনীতি এবং সেবামূলক রাজনীতি। এই তাৎপর্যগুলো বুকে ধারণ করে আগামীর প্রজন্মের উন্নত দেশ গড়ার কাজে মননিবেশ করতে হবে।