শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মেসির জন্য রেস্টুরেন্টের বাইরে জনস্রোত

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৩, ২২:৫৩

আর্জেন্টিনায় গেলেই পরিবারের সঙ্গে রেস্টুরেন্টে খেতে যান লিওনেল মেসি। এবারও গিয়েছিলেন গ্রিল খেতে। কিন্তু আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের সম্ভবত মনে ছিল না, আগের মেসি আর এখনকার মেসির মধ্যে কতটা ফারাক! বিশ্বকাপ জেতার পর তিনি আর্জেন্টাইনদের চোখের মণি হয়ে উঠেছেন। ফলে যা হওয়ার তাই হলো। রেস্টুরেন্টের বাইরে বয়ে গেল জনতার স্রোত। যেখানে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় নতুন এক অভিজ্ঞতা যোগ হলো মেসির জীবনে।

বিশ্বকাপ জেতার পর ট্রফি নিয়ে আর্জেন্টিনায় গিয়েছিলেন মেসি। দেশের মানুষের সঙ্গে পরম আনন্দের মুহূর্ত ভাগাভাগি করেছেন। তবে মেসিকে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয়নি কারও। এবার যখন প্রীতি ম্যাচ খেলতে দেশে ফিরেছেন, তখন তাঁকে কাছ থেকে দেখার সুযোগের অপেক্ষায় প্রত্যেকটি ফুটবলপ্রেমী। গতকাল (সোমবার) পরিবারের সঙ্গে রেস্টুরেন্টে গিয়ে নিজেই তো সেই সুযোগটি করে দিলেন!

গোপনেই গিয়েছিলেন বুয়েনস আয়ার্সের পাশের শহর পালেরমোতে। কিন্তু ফুটবলপাগল আর্জেন্টাইনরা চোখে চোখেই রেখেছিলেন তাঁকে। মুহূর্তেই খবর ছড়িয়ে যায়-মেসি এসেছেন রেস্টুরেন্টে। ব্যস, এক এক করে জড়ো হতে থাকেন হাজারও মানুষ। অবস্থা এই পর্যায়ে গিয়েছিল যে, রেস্টুরেন্টের সামনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। একই সঙ্গে জনতার স্রোতে রেস্টুরেন্টের ব্যবসাও সাময়িক সময় বন্ধ রাখতে হয়। পরে মেসিকে বিদায় করে ওই দিনের মতো বিক্রি বন্ধ করতে বাধ্য হয় তাঁরা।

ফুটবলপাগল আর্জেন্টাইনদের উন্মাদনা কাতার বিশ্বকাপে নতুন করে দেখেছে বিশ্ব। মেসিকে কাছে পাওয়ায় তাঁদের সেই উন্মাদনা বেড়ে গিয়েছিল কয়েকগুণ। তাঁদের চাওয়া ছিল একটাই-রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে এসে মেসি যেন ‘হ্যালো’ বলেন।

কিন্তু শুধু ‘হ্যালো’-তে কি আর কাজ হয়! রাতের খাবার শেষ করে মেসি রেস্টুরেন্ট থেকে বের হতেই উপস্থিত ভক্তদের উন্মাদনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা বেষ্টনী বানিয়ে ঠেকাতে পারছিলেন না। মেসিকে একটু ছুঁয়ে দেখতে কিংবা একটা সেলফি নিতে পারলেই যেন তাঁদের জীবনটা সার্থক! এক ভক্ত যেমন বলেছেন, ‘এত কাছ থেকে মেসিকে দেখবো, স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার জীবন সার্থক।’

এত ভিড় ও ঠেলাঠেলির পেরিয়ে গাড়ি পর্যন্ত যেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে মেসির। তারপরও তাঁর ঠোট থেকে হাসি সরেনি। ভক্তদের এই পাগলামি ও উন্মাদনা যেন তাঁর আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কেন? এই ভালোবাসার কারণ মেসি নিজেও তো জানেন।

৩৬ বছর পর বিশ্ব জয়ের আনন্দ যার হাত ধরে এসেছে, তাকে ঘিরে এই পাগলামি তো হওয়ারই কথা!

ইত্তেফাক/কেআর/এএএম