ইউক্রেনের জন্য আরো ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহযোগিতার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে ইউক্রেনকে ১০ লাখ আর্টিলারি শেল দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই সহযোগিতা প্যাকেজে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত হিমার্স ও হাউইটজারের জন্য আরো গোলাবারুদ দেওয়া হবে। রুশবিরোধী আক্রমণে এই মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন। ব্লিঙ্কেনের বিবৃতিতে বলা হয়, এই সহযোগিতায় আরো থাকবে ব্র্যাডলি সামরিক যান, হার্ম ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র, নৌযান ও অন্যান্য সরঞ্জাম। মার্কিন অস্ত্রভাণ্ডার থেকে এসব সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হবে। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আবারও ঘোষণা দিয়েছেন, যত দিন প্রয়োজন ততদিন ইউক্রেনের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, চাইলেই রাশিয়া আজ একাই এই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে। রাশিয়া যত দিন তা না করছে আমরা ততদিন ইউক্রেনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকব।
এর আগে সর্বশেষ প্রেসিডেন্সিয়াল ড্রডাউনের আওতায় এই মাসের শুরুতে ইউক্রেনকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছিল। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ শুরু হওয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল ড্রডাউন তহবিল থেকে কিয়েভকে ৩২ বিলিয়ন ডলার সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আগামী ১২ মাসে ইউক্রেনকে ১০ লাখ আর্টিলারি শেল দিতে সম্মত হয়েছে। এই লক্ষ্যে তারা ২ বিলিয়ন ইউরোর (২.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) একটি পরিকল্পনার ব্যাপারে একমত হয়েছে। সোমবার ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউরো প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। সভার সভাপতি ইইউ ফরেন পলিসি চিফ যোশেফ বরেল টুইটারে একে ২৭ জাতির ব্লক ও নরওয়ের জন্য ‘একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেনকে আরো আর্টিলারি গোলাবারুদ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে যাচ্ছি। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্পের গোলাবারুদের যৌথ ক্রয়াদেশ প্রকল্পে (ইউরোপীয় ডিফেন্স অ্যাজেন্সি) ১৮টি দেশ সই করেছে। বরেল বলেন, আর্টিলারি শেল সরবরাহ করার জন্য সদস্য দেশগুলোকে ১ বিলিয়ন ইউরো প্রদান করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে তারা সরবরাহ করা আর্টিলারি শেল আবার উৎপাদন করে তাদের ভাণ্ডার পূরণ করতে পারবে।
ইউক্রেন বার বার অভিযোগ করছে, রাশিয়াকে মোকাবিলা করতে গিয়ে তারা পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচ্ছে না। রাশিয়ার অভিযান প্রতিরোধ করতে তাদের মাসে সাড়ে তিন লাখ শেল দরকার বলে ইউক্রেন জানিয়েছে।জার্মানির প্রতিরক্ষা শিল্প বলেছে, তারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইউক্রেনে পাঠাতে প্রস্তুত। তবে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগ প্রয়োজন।