শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে ওসিসহ ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩, ২০:১০

পটুয়াখালীর দুমকিতে ব্ল্যাকমেইল, নির্যাতন, চাঁদা দাবিসহ একাধিক অভিযোগে দুমকি থানার ওসি আবদুস সালাম ও দুই এসআইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত ১৪ মার্চ পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করা হয়। 

অভিযোগে জানা যায়, বাউফল উপজেলার রাজনগর এলাকার সুমন উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেনের খালাতো ভাই সাদমান সাকিবের নামে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সৈয়দ ফরহাদ হোসেনের স্ত্রীসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র মুরাদিয়া ইউনিয়নে মৃত আলী শরীফের মেয়ে খাদিজা শিমুকে দিয়ে ভুয়া কাবিননামা করে পটুয়াখালী কোর্টে যৌতুক  মামলা দায়ের করেন। ঘটনার বিপরীতে পুলিশ সুপার বরাবর সাদমান সাকিব মিথ্যা মামলা করায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় বিষয়টি পুলিশ সুপার দুমকি থানা ওসিকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশ মোতাবেক তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন ফোন করে উভয়পক্ষকে থানায় আসতে বলেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বাদীপক্ষ থানার সামনে এসে হাজির হলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিবাদীগণকে দেখেই এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন। পরবর্তীতে পুলিশ উল্টো সাদমান সাকিব ও জাকির হোসেনকে আটক করেন। এসআই সাকায়েত হোসেন বিবাদীদের পক্ষ নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বিবাদীদের নারী নির্যাতন মামলা করতে নির্দেশ দেন। ওসি আবদুস সালাম তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। পাশাপাশি ওসি আবদুস সালাম খাদিজা শিমুকে সাদমান সাকিবের পাশে বসিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করেন এবং ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। একপর্যায়ে এসআই সাকায়েত ও এসআই দেলোয়ার হোসেন আটক সাদমান সাকিব ও জাকিরের পরিবার থেকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে সাদা কাগজে মুচলেকা নেয়। এছাড়া দুজনকে মামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে শিখানো কথা দিয়ে ভিডিও ধারণ করেন। একই সঙ্গে ওসি সালাম কেড়ে নেওয়া মোবাইল ফোন জব্দ করে তাদেরকে ছেড়ে দেন। পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোনো প্রতিকার না পেয়ে উল্টো পুলিশ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে জাকির হোসেন ওসি আবদুস সালাম, এসআই দেলোয়ার, এসআই সাকায়েত হোসেনসহ ঘটনায় জড়িত ১০ জনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করেন। 


  
অভিযুক্ত ওসি আবদুস সালাম বলেন, মামলা হয়েছে আদালতে। সত্যি-মিথ্যা যাচাই বাছাই সেখানে হবে।

পটুয়াখালী পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়ে আমি অবগত। যেহেতু মামলাটি তদন্তধীন সেহেতেু আদালত-ই বিষয়টি দেখবেন। এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। 

ইত্তেফাক/পিও