শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বলিউডে নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছিলাম: প্রিয়াঙ্কা

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৬:৩০

বলিউডে ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকার সময়ই ভারত ছেড়ে আবার যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সম্প্রতি এর পেছনের কারণ জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা, দিয়েছেন বিস্ফোরক তথ্য।  প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, বলিউডের রাজনীতির চক্করে তাকে একঘরে করা হয়েছিল, তাই ভারত ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

ড্যাক্স শেফার্ডের শো'তে নিজের ইংরেজি উচ্চারণ নিয়েও কথা বলেছেন ‘কৃশ’ অভিনেত্রী। প্রিয়াঙ্কার ‘আমেরিকান’ ইংরেজি উচ্চারণ নিয়ে প্রায়ই ট্রল করে থাকেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ ভাবেন, ইচ্ছে করেই বাড়তি মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টায় আলাদা উচ্চারণে কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ছবি: সংগৃহীত

কিন্তু ‘পিসি’ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে পড়ার সময় প্রতি সপ্তাহে নিজের ইংরেজি উচ্চারণের ধরন পাল্টাতেন তিনি; কারণ তার আশেপাশের ছেলেমেয়েরা তার ইংরেজি বুঝতে পারতো না।

অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মনে হতো আমার উচ্চারণে অনেক পরিবর্তন আনা দরকার, কারণ আমার ইংরেজি শুনলে আমার স্কুলের অন্যরা এমন প্রতিক্রিয়া দেখাতো-এক পর্যায়ে বিষয়টা আমার জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রবাসীরা বিদেশে এসে সেই দেশের উচ্চারণের স্টাইলে কথা বলতে শুরু করা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু মূল ব্যাপারটা হলো অপরপক্ষ যেন আমার কথাটা বুঝতে পারে।’

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এর আগে জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে ভর্তি হয়েই বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছিলেন তিনি।

২০১২ সালে ইন্ডিয়া টুডে মাইন্ড রকস ইউথ সামিটে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বেরিলিতে (উত্তরপ্রদেশের একটি শহর) থাকতাম, সেখান থেকে সোজা বোস্টনে গিয়ে এক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারতাম না কিভাবে সেখানে মানিয়ে নেওয়া যায়। আমার গায়ের রঙ এর জন্য কেউ কেউ তাকে 'ব্রাউনি' বলে ডাকতো এবং ভারতীয় হওয়ায় আমার দিকে আঙুল তুলেছিল।’ সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ইত্তেফাক/বিএএফ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন