নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার র্যাব সদর দপ্তর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কমিটি গঠন করে।
আজ মঙ্গলবার (২৮মার্চ) দুপুরে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় সংস্থার (র্যাব) সদস্যদের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে র্যাবের কারও বিরুদ্ধে জড়িত থাকার ও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তদন্তে কিছুটা সময় লাগবে।’
ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে মৃত্যু হওয়া সুলতানা জেসমিনকে একজন যুগ্ম সচিবের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছিল।’
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত ওই যুগ্ম সচিবের নাম এনামুল হক। নওগাঁ সদর উপজেলার ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে র্যাব আটক করার সময়ও ওই যুগ্ম সচিব সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মঙ্গলবার র্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, যুগ্ন সচিব এনামুল হকের অভিযোগে তার উপস্থিতিতেই র্যাব নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিনকে আটক করেছিল। পরে তিনি ‘অসুস্থ হয়ে পড়লে’ তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যুগ্ম সচিবের ফেইসবুক আইডি হ্যাক করে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র প্রতারণা করে আসছিল। যুগ্ম সচিবের নাম ও পদবী ব্যবহার করে চাকরি দেওয়ার নাম করে বা কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ আদায় করছিল চক্রটি। এ বিষয়ে ২০২২ সালের মার্চ মাসে প্রথমে জিডি করেন এনামুল হক।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে সুলতানা জেসমিনকে (৪৫) তুলে নিয়ে যায় র্যাব। তাদের ‘নির্যাতনে’ ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্বজনরা।
এর আগে র্যাব জানিয়েছিল, সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছিল।