সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করব: ট্রাম্প

আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৪:১৮

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারেন। এজন্য তিনি শান্তি আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন। তবে এই যুদ্ধের অবসান ঘটানোর মন্ত্র কী তা তিনি উল্লেখ করেননি। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

ট্রাম্প দাবি করেন, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যদি যুদ্ধ শেষ না হয়, তাহলে তিনি হোয়াইট হাউসে পুনরায় নির্বাচিত হলে একদিনের মধ্যেই শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, 'যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করা আমার জন্য সহজ হবে। যদি এর সমাধান না হয়, তাহলে আমি জেলেনস্কি ও পুতিনের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সংকটের সমাধান করব। 

এটি একটি খুব সহজ আলোচনা হবে। কিন্তু কীভাবে তা এখন বলতে চাই না। তারপর আমি আর কৌশলটি ব্যবহার করতে পারব না। খুব সহজ একটি আলোচনার ক্ষেত্র আছে। আমি একদিনের মধ্যে তাদের মধ্যে শান্তি স্থাপন করে এর সমাধান করব।'

জেলেনস্কি ও পুতিন

তবে আগামী দেড় বছরেও শান্তি আলোচনা শুরু হবে না বলে সতর্ক করে তিনি জানান, এটা দীর্ঘ সময়। এ সময় যুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, '২০২০ সালে আমি যদি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতাম তাহলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।'

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন ট্রাম্প।

পুতিন ইতোমধ্যে মিত্র বেলারুশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি তার অবস্থান থেকে সরে আসবেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও অন্যান্য পশ্চিমা নেতারা রুশ প্রেসিডেন্টের এমন পরিকল্পনার কঠোর সমালোচনা করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন তার সামরিক বাহিনীকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করার নির্দেশ দেন। চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার হামলায় এ পর্যন্ত লাখ লাখ ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এই সংঘর্ষের কারণে।

ইত্তেফাক/ডিএস