সৌদিতে ওমরাহ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শাহিদুল ইসলাম রাসেলের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। রাসেল ছিলেন তাদের পরিবারের একমাত্র উর্পাজন ব্যক্তি। নিহত শাহিদুল ইসলাম রাসেল (২৬) সেনবাগ উপজেলার ৭ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের (ভূঁইয়াদিঘী) মালেক মোল্লার বাড়ির শরিয়ত উল্লা জসিমের ছেলে।
সরেজমিনে বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার নানা বয়সী নারী-পুরুষের ভিড়। সবার একমাত্র লক্ষ্য মৃতের স্বজনদের সান্ত্বনা দেওয়া। উপস্থিত অনেক মহিলা তখন কান্নাকাটি করছে।
শাহিদুলের বাবা শরিয়ত উল্লা জসিম জানায়, তার এক মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে শাহিদুল ইসলাম রাসেল গত বছরের এপ্রিল মাসে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে যান। সেখানে আবাহ এলাকার মাকান ক্যাপেটেরিয়া কোম্পানির একটি দোকানে কর্মরত ছিলেন। সোমবার কোম্পানি থেকে ৩ দিনের ছুটি নিয়ে স্থানীয় বাংলাদেশি একটি হজ এজেন্সির মাধ্যমে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে কর্মস্থল থেকে রওনা দিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ওমরাহ যাত্রীদের বহনকারী বাসটি ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় পৌঁছলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় ২২ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে শাহিদুলসহ ৮ জন বাংলাদেশি ছিল মারা যায়। পরিবারের দাবি কোম্পানির নিকট সকল পাওনাসহ যেন লাশ দ্রুত সময়ে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।