র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
ড. মোমেনকে প্রশ্ন করা হয়, র্যাবের নিষেধাজ্ঞা চলাকালেই বাহিনীটির হেফাজতে সুলতানা জেসমিন মৃত্যু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই না। এ ধরনের দুর্ঘটনা আমেরিকায় প্রতিদিনই হচ্ছে। এ সপ্তাহে স্কুলে বাচ্চা মেরে ফেলেছে। এ নিয়ে কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে? এ ধরনের ঘটনা হঠাৎ করে হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে ঘটনা (জেসমিনের মৃত্যু) জানলাম। সত্য-মিথ্যা জানি না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও র্যাব বলতে পারবে।’
এর আগে গত বুধবার সকালে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা জেসমিনকে আটক করে বলে অভিযোগ ওঠে। আটকের প্রায় ২ ঘণ্টা পর দুপুরে জেসমিনকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে র্যাব। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
সুলতানা জেসমিন সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি শহরের জনকল্যাণ মহল্লায় ভাড়া থাকতেন।